ওয়েব ডেস্ক :- রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সদর দফতর নাগপুরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির লোকসভা কেন্দ্র নাগপুর। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের নির্বাচনী ক্ষেত্রও। সেই নাগপুরেই উপনির্বাচনে ধুয়ে-মুছে সাফ বিজেপি। বুধবার নাগপুরের জেলা পরিষদের উপনির্বাচনের (Nagpur ZP bypolls) ফল প্রকাশ হয়েছে। নির্বাচনে কংগ্রেসের (Congress) জয়জয়কার।
নাগপুরে ১৬টি ফাঁকা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৯ টি, বিজেপি ২ টি, এনসিপি ৩, টি, PWP ১টি এবং গন্ডোয়ানা গণতন্ত্র পার্টি ১ টি আসন পেয়েছে। শিব সেনা একটিও আসন পায়নি।
এদিনের এই ফলাফলে নাগপুরে শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের। ৫৮ আসনের নাগপুর জেলা পরিষদে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের দখলে ৩৩টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপির দখলে রয়েছে ১৩টি আসন। এনসিপির দখলে রয়েছে ৯টি আসন। শিব সেনার দখলে রয়েছে ১টি আসন। এই উপনির্বাচনে বিরাট সাফল্যের জেরে নাগপুর জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল কংগ্রেস।
এদিকে, নাগপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৩১টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ২১টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি জিতেছে ৬টি আসন। এনসিপি জয়লাভ করেছে ২টি আসনে। অর্থাৎ, পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর নাগপুর জেডপির ১৬ জন সদস্য তাদের সদস্যপদ হারান। এই ১৬ সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের ৭ জন, এনসিপি ও বিজেপির ৪ জন এবং এসকেপির একজন। তাই আসনগুলিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরএসএস-এর গড়েই ল্যাজেগোবরে পদ্ম শিবির। নির্বাচনে বড়সড় সাফল্য পেল কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের নির্বাচনী ক্ষেত্র। অথচ সেখানেই পদ্ম ফোটাতে পারল না গেরুয়া ব্রিগেড। জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে লজ্জার হার হারতে হল তাদের। ঘটনা হল নাগপুরের ১৬টি জেলা পরিষদ আসন ফাঁকা ছিল। সম্প্রতি তাতে নির্বাচন হয়। ১৬টি আসনের মধ্যে ৯টিই গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। এনসিপি পেয়েছে ৩টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ২টি আসন।একটি করে আসন জিতেছে স্থানীয় দুটি দল। ঘটনাচক্রে এখানে শিবসেনা কোনও আসন পায়নি।
জেলা পরিষদের পাশাপাশি নির্বাচন হয়েছিল নাগপুরে পঞ্চায়েত সমিতিরও। তাতে ৩১টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে গেছে ২১টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৬টি। আর এনসিপির আসন সংখ্যা ২। যার মানে হল, কংগ্রেস এখন ভাবেই আরএসএস গড়ে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল। নির্বাচনের এই ফল যেমন কংগ্রেস কর্মীদের অক্সিজেন জোগাল, তেমনি বিজেপি কর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করল।