নিউজ ডেস্ক: – কবি, সমাজকর্মীদের পর এবার এলগার পরিষদ মামলায় এনআইএ’র নজরে বাংলার মেধাবী গবেষক-অধ্যাপক পার্থসারথী রায়। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে মুম্বইয়ের অফিসে তলব করলেন তদন্তকারীরা। আগামী ১০ তারিখ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছ। এই ঘটনায় গর্জে উঠেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তীব্র প্রতিক্রিয়া APDR’এর প্রধান রঞ্জিত শূরের। এ নিয়ে অধ্যাপক রায়ের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
IISER, কলকাতার অধ্যাপক-গবেষক পার্থসারথী রায় নিপীড়িত জেলবন্দিদের নিয়ে কাজ করেন। তিনি পিপিএসসি’র (Persecuted Prisoners Solidarity Committee) বঙ্গ শাখার আহ্বায়ক। সেই কারণেই তাঁর দিকে এবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর পড়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও মামলায় এলগার পরিষদের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই মুহূর্তে জেলবন্দি। এই সংগঠনের সঙ্গে নকশালদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে, এই অভিযোগে মামলা শুরু হয়। সম্প্রতি মামলার তদন্তভার পুণে পুলিশের কাছ থেকে নিয়েছে এনআইএ। তারপরই বিশিষ্ট তেলেগু কবি ভারভারা রাওয়ের (Varvara Rao) জেলবন্দির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অশীতিপর কবি ভারভারা গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্বেও কারাগারে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চাপে লাগাতার দাবির চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত ভারভারাকে হাসপাতালে ভরতি করিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়।
এলগার পরিষদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও সেই একই মামলায় পিপিএসসি’র আহ্বায়ক, IISER, কলকাতার অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এপিডিআর প্রধান রঞ্জিত শূরের কথায়, ”NIA’র এক প্রতিনিধিদল অধ্যাপক রায়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে তাঁর হাতে নোটিস ধরাতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি কোভিড গাইডলাইন মেনে জানান যে দেখা করতে পারবেন না। ক্যাম্পাসে অন্য কারও প্রবেশও আপাতত নিষিদ্ধ। এরপর তাঁকে ই-মেল পাঠিয়ে নোটিস দেওয়া হয়। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা আমরা নেব।” সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের ধারণা, মামলার নিষ্পত্তি করতে বেশিই সক্রিয়তা দেখাচ্ছে NIA.
এই নিয়ে বাংলার বুদ্ধিজীবি সমাজ তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সৌজন্য:- সংবাদ প্রতদিন