হাইকোর্টের নির্দেশের পর বেহালার নামী-দামী ও বড় পূজা মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন কার্যতঃ এখন অসম্ভব, হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করলেই কড়া ব্যবস্থা
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর বেহালার নামী-দামী, বড়-বড় পূজা মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করা কার্যতঃ এখন অসম্ভব বলেই মনে করছেন অধিকাংশ মানুষ। তবে পূজা কমিটির কর্তাদের দাবি, বেহালায় পূজা দর্শনার্থীদের জনস্রোত এসব রীতি-নীতি মানবে না। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত: “বেহালা নতুন দল” “বেহালা নতুন সংঘ” “বেহালা ফ্রেন্ডস” এই তিনটি পুজোই বেহালার নামী ও বড় পুজো। কিন্তু এই তিনটি পুজো মণ্ডপেরই অবস্থান গলির ভিতর। তাই প্রতিমা দর্শন করতে হলে পুজোর গেট থেকে দু-একটি বাঁক পেরিয়ে হেঁটে মণ্ডপের ধারে কাছে যেতে হয়। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর গেটের সামনেই “নো-এন্ট্রি বোর্ড” ঝোলাতে বাধ্য হচ্ছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। অন্যথায় আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারেন কর্মকর্তারা। আর এতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এই পূজা কমিটিগুলির, এমনটাই জানালেন এলাকার বাসিন্দারা।
তবে কিছু পূজা কমিটির কর্মকর্তাদের দাবি, “আনন্দের বন্যায় দর্শনার্থীদের জনস্রোত এসব নিয়ম-কানুন-নির্দেশের তোয়াক্কা করবে না। বেহালার পুজো যেমন হয় তেমনই হবে।” অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “পূজা দর্শনার্থী অথবা পূজা কমিটির কর্মকর্তা…. যারাই হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করবেন, তাদের বিরুদ্ধেই কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, নানা আইনি জাঁতাকলের ঘেরাটোপে এবার বাংলার পুজো মণ্ডপগুলি। তার উপর রয়েছে করোনা আতঙ্ক। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ খুব একটা ঝুঁকি নিয়ে ভীড়ের মধ্যে পা মেলাতে রাজী হবেন না, বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।