পূজোর পর আবার নিলাম লাভজনক চার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচতে চলেছে কেন্দ্র

Spread the love

নিউজ  ডেস্ক- আগামী মাসে ভারত পেট্রোলিয়াম, শিপিং কর্পোরেশন, কন্টেনার কর্পোরেশন এবং BEML-এর নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই চার রাষ্ট্রায়ত্ত লাভজনক সংস্থা বিক্রির মাধ্যমে মোট ৪৯,০০০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ঢুকবে বলে সরকারের আশা। ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে মোট ২ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।

বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্ট্যাটিজিক বিলগ্নিকরণে এবার তেড়েফুড়ে ময়দানে নামতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে সরকারি সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে অন্তত ২ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য .এদিকে সরকারের আর্থিক ঘাটতি আকাশ ছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে আর কালবিলম্বে রাজি নন অর্থ মন্ত্রকের কর্তাব্যক্তিরা। সূত্রের খবর, উৎসব পর্ব মিটলেই মোট চারটি লাভজনক প্রক্রিয়ার বিলগ্নিকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।

 

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আগামী মাসে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL), শিপিং কর্পোরেশন , কন্টেনার কর্পোরেশন এবং BEML-এর নিলাম ও আগ্রহপত্র আহ্বানের মাধ্যমে বিলগ্নিকরণের ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে। এই বিষয়ে প্রাথমিক নীল নকশা করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট । এই চার সংস্থার বর্তমানে যা শেয়ারমূল্য তাতে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে অন্তত ৪৯,০০০ কোটি টাকা সরকারের ঘরে ঢুকবে বলে আশা গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিদের।

এ ছাড়া বহু আলোচিত এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের দিকেও তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীগোষ্ঠী চলতি মাসেই এই বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়ে দিতে পারে। তেমন হলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ‘মহারাজা’র আগ্রহী ক্রেতাদের থেকে আগ্রহপত্র আহ্বান করতে পারে সরকার। তবে আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের আগে এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছেন তাঁরা।
..

বর্তমান আর্থিক বছরের বাজেট পেশের সময় আর্থিক ঘাটতি জিডিপি-র ৩.৫ শতাংশের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটে এ বছর ৮ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক ঘাটতির হিসেব দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু গত অগস্ট মাসে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই সীমারেখা পার করে গিয়েছে সরকার। গত জুলাই মাসের শেষে সরকারের আর্থিক ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮ লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা। গোটা অর্থনৈতিক বছরের জন্য সরকার বাজেটে যে ঘাটতির হিসেবে ধরেছিল এটি তার ১০৩.১ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৮ শতাংশ ছাপিয়ে যেতে পারে। এ বছর সরকারের অন্তত ১৪ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক ঘাটতি হতে পারে।

সৌজন্য :-Ei samay

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.