আগামী ৩ মাস কোনও EMI দিতে হবে না। সবরকম ঋণের উপরই ৩ মাস EMI স্থগিত। বাণিজ্যিক ঋণেও ৩ মাসের সুদে ছাড়। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেছেন আরবিআই গর্ভনর শক্তিকান্ত দাস।
অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- করোনার করাল গ্রাসে সারা বিশ্ব। ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ। ধুঁকছে গোটা দেশের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে চাঙ্গা করতে রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ০.৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হচ্ছে রেপো রেট। এরফলে রেপো রেট হচ্ছে ৪.৪ শতাংশ। অন্যদিকে রিভার্স রেপো রেটও কমানো হচ্ছে ৯০ বেসিস পয়েন্ট। এরফলে রিভার্স রেপো কমে দাঁড়াচ্ছে ৪ শতাংশে। রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট কমিয়ে গর্ভনর শক্তিকান্ত দাস জানান, এরফলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি নগদের জোগান হবে। বাজারে ঢালতে ব্যাঙ্কের হাতে ৩ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা থাকবে।
যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। একইসঙ্গে তিনি বলেন, খাদ্যপণ্য ও তেলের দাম কোনও অবস্থায় বাড়তে না দেওয়াই আরবিআই-এর প্রধান লক্ষ্য। মুদ্রস্ফীতিতে লাগাম পড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এদিন জ্বালানি তেলের উপরও কর কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন আরবিআই গভর্নর।
যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনায় কাহিল দেশের অর্থনীতি। করোনায় বেহাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নয়া দাওয়া ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। রেপো রেট ও রিভার্স রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিল আরবিআই। শুক্রবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে রেপো ও রিভার্স রেপো রেট কমানোর কথা ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর শক্তিকান্ত দাস।
সাংবাদিক বৈঠক করে শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ০.৭৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমানো হচ্ছে। এরফলে রেপো রেট দাঁড়াল ৪.৪ শতাংশ। অন্যদিকে রিভার্স রেপো রেটও কমানো হচ্ছে ৯০ বেসিস পয়েন্ট। এরফলে রিভার্স রেপো কমে দাঁড়াচ্ছে ৪ শতাংশ। যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিককালে এত বড় মাত্রায় রেপো ও রিভার্স রেট কমানোর নজির আরবিআই-এর নেই। দেশে টাকার জোগানে যাতে ঘাটতি না পড়ে, সেই কারণেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই উদ্যোগ। লকডাউন পরস্থিতিতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। যার প্রভাব এসে পড়েছে অর্থনীতিতে। এহেন অবস্থায় আরবিআই-এর এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বড় পদক্ষেপ। খুবই জরুরি ছিল এটা। এরফলে ব্যাঙ্কগুলির হাতে টাকার জোগান বাড়বে।
করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছে দেশ। করোনার করাল গ্রাস থেকে দেশবাসীকে বাচাঁতে ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত গোটা দেশে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। করোনার তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বা সামাজিক সংক্রমণ রোখাই প্রশাসনের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রসঙ্গত, ভারতে ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৪ জন। বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ জন। কোভিড-১৯ ভাইরাসের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন।