নিউজ ডেস্ক: বাংলা জয়ের পর লক্ষ্য দিল্লি দখল। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে উত্তরপূর্বের রাস্তা নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস । ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় সংগঠন বাড়াতে জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে এরাজ্যের শাসকদল। বিপ্লব দেবের রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের নিত্য আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, তৃণমূল এবার ত্রিপুরায় থামতে চাইছে না। ত্রিপুরার সীমানা পেরিয়ে অসমেও সংগঠন বাড়াতে চাইছে এরাজ্যের শাসক দল। এবং সেই লক্ষ্যে বেশ খানিকটা এগিয়েও গিয়েছে তাঁরা।
এমনিতে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে তৃণমূলের কমবেশি সংগঠন আগে থেকেই ছিল। অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরের মতো রাজ্যে আগেও বেশ কয়েকটি নির্বাচনে লড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে, তৃতীয়বার বাংলা দখলের পর এই রাজ্যগুলিতে সংগঠনে জোয়ার আনতে চায় ঘাসফুল শিবির। সেই লক্ষ্যে অসমের কৃষি আন্দোলনের নেতা তথা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মুখ অখিল গগৈকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূল। অন্তত অখিল গগৈয়ের তেমনটাই দাবি। অখিল গগৈ অসমের রাজনীতিতে অতি পরিচিত নান। একদশকেরও বেশি সময় ধরে অসমের রাজনীতিকে প্রভাবিত করে আসছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দল তৈরি করে লড়েছিলেন অখিল। নিজে শিবসাগর কেন্দ্র থেকে বিধায়কও হন।
শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের তরফেই অখিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই বার দুয়েক কলকাতায় এসে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে গিয়েছেন। এবং সেকথা অখিল নিজেও স্বীকার করেছেন। তাঁর মন্তব্য তৃণমূল যোগের জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, “হ্যাঁ আমার কাছে প্রস্তাব আছে। ওঁরা চায় আমি অসম তৃণমূলের সভাপতি হই। এখনও আলোচনা চলছে।” অখিল বলছেন, তিনি মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। তবে, এখনও জোটের রাস্তাও খোলা রয়েছে। অখিল ছাড়াও অসমের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। তিনি কোকড়াঝোড় কেন্দ্রের নির্দল সাংসদ নবকুমার সারানিয়া। তাঁর সঙ্গেও নাকি তৃণমূল নেতাদের কথাবার্তা চলছে।
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন