নিউজ ডেস্ক :- আবার গণধর্ষণ ,আবার সেই উত্তর প্রদেশ । গণধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে। এবার ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থানার পুলিশ স্থানীয় এক বিজেপটি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। হাথরসের ঘটনার মধ্যেই ফের বিড়ম্বনায় বিজেপি।
এবারের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ।
যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে গোটা দেশে, এবার সেই গণধর্ষণের কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে এক বিজেপি নেতাকেই।
আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই অভিযুক্ত অনীল দ্বিবেদীও গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
বিড়ম্বনা বাড়ছে বিজেপির
হাথরসের ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তাল গোটা দেশ। যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশব্যাপী মানুষ। এরই মাঝে একের পর এক গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবারের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে গোটা দেশে, এবার সেই গণধর্ষণের কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে এক বিজেপি নেতাকেই। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি শ্যাম প্রকাশ দ্বিবেদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে গণধর্ষণকাণ্ডে। এছাড়াও আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই অভিযুক্ত অনীল দ্বিবেদীও গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে স্নাতকস্তরের এক ছাত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে শ্যাম প্রকাশ দ্বিবেদী ও অনীল দ্বিবেদী তাঁকে গণধর্ষণ করে। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা অভিযোগ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা তাকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতার আরও দাবি, গত মার্চ মাসে ওই দুই অভিযুক্ত জোরপূর্বক তার ঘরে আটকে রেখেও ধর্ষণ করেছিল। তাহলে এতদিন অভিযোগ জানাননি কেন? নিগৃহীতার অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ জানালে অভিযুক্তরা তাঁর পরিবারের ক্ষতি করবে বলেছিল। সেই ভয়েই এতদিন পুলিশের কাছে যাননি তিনি।
ইতোমধ্যে কর্নেলগঞ্জ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ দায়েরের কথা শুনেই ওই বিজেপি নেতা ফেরার হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কর্নেলগঞ্জ থানার পুলিশ শনিবারই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন নির্যাতিতা।
আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁপছে মৃতার পরিবার, হাথরসে অভিযুক্তদের ছাড়ার দাবিতে সভা বিজেপি নেতার!
অপরদিকে, অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে এবার হাথরসের মৃতার বাড়ির সামনেই সভা করলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা! গণধর্ষণে অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে মৃতার বাড়ির সামনেই বেশ বড়সড় সভার আয়োজন করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা রাজবীর সিং পেহেলবান। তিনি বিজেপির প্রাক্তন বিধায়কও। ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, উঁচু জাতের মানুষদের ফাঁসাতেই চক্রান্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পিছনে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা