নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- গোটা বাংলায় আজ ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থান ,গেরুয়া শিবিরের দাপাদাপি এর বিরুদ্ধে গোটা বাংলায় আজ বিজেপি বিরোধী শক্তি এক হওয়ার পথে ।‘‘বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৃণমূলকে সঙ্গে নিতে কোনও ছুৎমার্গ নয়৷ কিন্তু তার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে৷’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর, এবার তৃণমূলের সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷ সাফ জানালেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একটু তাঁর বক্তব্যটা পরিষ্কার করে বলুন৷ আমাদের তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷’’ আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যই এবার নয়া জল্পনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে৷ একাংশের প্রশ্ন, বিজেপিকে রুখতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি তবে একজোট হয়ে লড়াই করবে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল?
বিধানসভায় বিজেপি বিরোধিতায় বাম-কংগ্রেসকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে শুক্রবার সোমেন মিত্র বলেন, ‘‘একদিকে প্রধানমন্ত্রীকে উনি কুর্তা-মিষ্টি পাঠাচ্ছেন৷ আবার জনসভায় দাঁড়িয়ে বলছেন যে, নরেন্দ্র মোদির কোমরে দড়ি পরিয়ে ঘোরাবেন৷ একদিকে, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন৷ আবার পরের দিনই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব খণ্ডন করছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে৷’’
কেবল সোমেন মিত্রই নন, এদিন ইস্যুর ভিত্তিতে তৃণমূলকে সমর্থনের পক্ষে সায় দিয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য৷ ইভিএমের বদলে ব্যালট ফেরানোর যে দাবিতে এবার ২১ জুলাইয়ের জনসভা করছে তৃণমূল, সেই দাবিকে এদিন সমর্থন জানিয়েছেন তিনিও৷ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এই সাংসদ জানান, ‘‘এবারের নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে৷ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এখন ইভিএম উঠে গিয়েছে৷ তাই এই দাবি ন্যায্য৷’’
এখানেই শেষ নয়, এদিন সরাসরি বামেদের সঙ্গে জোটের বার্তা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ সমস্ত জেলা সভাপতিদের সঙ্গে করা বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বামেদের সঙ্গে এবার শুধুমাত্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোট নয়৷ নির্বাচনের আগে থেকেই বাম-কংগ্রেস জোট হবে৷ এই জন্য কয়েকটি উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন, প্রথমত বামেদের সঙ্গে যৌথমঞ্চ গড়ে তুলতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, এবার আর আড়ালে-আবডালে নয়, প্রকাশ্যেই জোট হবে৷ নাহলে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হতে পারে৷ তৃতীয়ত, নির্বাচন আসলেই এবার কেবল বামেদের সঙ্গে জোট করবে না কংগ্রেস৷ সবক্ষেত্রে একসঙ্গে লড়াই করবে৷ নাহলে সাধারণ মানুষ ভুল বুঝতে পারে৷ মানুষ ভাবতে পারে বাম-কংগ্রেস সুবিধাবাদী রাজনীতি করছে৷
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে বেঁকে বসেছিল বামফ্রন্টের অনেক শরিক দল৷ ফলে এবারও সেই জোটের পথ আদৌ কতটা সুগম হবে, এখনও সেই প্রশ্ন তাড়িয়ে বেরাচ্ছে কংগ্রেস সভাপতিকে৷ যার উত্তরে এদিন তিনি জানান, ‘‘আমরা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের সঙ্গে জোট নিয়ে কথা বলব৷ উনি বাকি শরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন৷’’
সৌজন্য :- প্রতিদিন