আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্র্ক্তানী সার্জিল উসমানীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
নিজস্ব প্রতিবদেক: শারজিল উসমানীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হলেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে ফ্যাসিবাদী বিজেপি সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। বুধবার সন্ধ্যায় আজমগড়ে বাড়ি থেকে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী শারজিল উসমানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উসমানীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে অন-লাইনে প্রতিবাদ সভা করেন বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক শিক্ষক থেকে গণ আন্দোলনের সঙ্গে জরিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্বরাও।
উলেখ্য, সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন শারজিল উসমানী। সেই আন্দোলন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। যার কারণে তাঁকে ফ্যাসিবাদী সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা। উসমানীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ বাড়িতে এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কিন্তু কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে। কোন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলেও পুলিশ মুখ খোলেনি। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা থানায় গিয়েও, গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলেও, পুলিশ কিছু বলতে রাজি হয়নি। একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য, প্রথমে তাঁকে জানাতে হয়, কোন কোন ধারায় কেশ হয়েছে। নোটিশ দিয়ে থানায় হাজির হওয়ার কথা বলতে হয়। সে সব না করেই তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিছু বই ও তাঁর ল্যাপটপ।
একজন প্রতিবাদী ছাত্রকে গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশের এই অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রতিবাদ সভায় বাংলার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের ধরনা, সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিবাদের ভাষাকে কেড়ে নিতে চাইছে। গণতন্ত্রের কন্ঠোরোধ করতে চাইছে। পুলিশের এই অতিসক্রিয়তাকে ধিক্কার জানিয়েছেন। অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবি করা হয়েছে। এদিনের প্রতিবাদ সভার মুখ্যপরিচালক তথা সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান এদিনের সভা থেকে সর্বসম্মলিত ভাবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রতিবাদে অন-লাইন পদ্ধতিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে। যা পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী থেকে রাস্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। কামরুজ্জামান ছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ ড. নাজিবুর রহমান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মাতিন, দলিতনেতা শরদেন্দু উদ্বীপক, জমিয়তে আহলে হাদীস পশ্চিমবাংলার সম্পাদক ড. আলমগীর সরদার, লেখক-শিক্ষক মুহাম্মদ হাদিউজ্জামান, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক রাকিব হক, সংখ্যালঘু ছাত্রনেতা নাজমুল আরেফিন, আলী আকবার প্রমুখ।