মানবদরদি চিকিৎসক কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্ট

Spread the love

মানবদরদি চিকিৎসক কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে আইনি লড়াইয়ের জয় পেলেন মানবদরদী চিকিৎসক ডাক্তার কাফিল খান। দীর্ঘ নয় মাস জেলবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন তিনি। জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক কাফিল খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ডা. কাফিল খানের মা নুজঝাত পারভিনের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের উচ্চ আদালত।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ও বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ ডা. কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে দেশদ্রোহের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, আলিগড়ের জেলাশাসকের নির্দেশে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার কাফিল খানকে জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করে জেল বন্দি করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পরে তিন অন্তর জাতিয়ে সুরক্ষা আইনে গ্রেফতারের মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ মাস জেলে আটকে রাখা হয়। গ্রেফতারির সেই সময়সীমা বাড়ানোকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন কাফিল খান। এর ফলে ফের যোগী সরকারের রোষানলে পড়ে যান মানবদরদী এই চিকিৎসক। তাকে গত ২৯ জানুয়ারি মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রথমে সিএএ বিরোধী সভায় উস্কানি মূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আলীগড় আদালতের বিচারক ডাক্তার কাফিল খান জামিনের নির্দেশ দেন।
তারপরে নয়া কৌশল গ্রহণ করে যোগী সরকারের প্রশাসন। আলীগড়ের জেলাশাসকের নির্দেশে ডাক্তার কাফিল খানকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কাফিল খানের মা নুজঝাত পারভিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বি আর গবাইয়ের গঠিত বেঞ্চ বিষয়টি এলহাবাদ হাইকোর্টই হল বিচারের উপযুক্ত জায়গা বলে আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন কাফিল খানের মা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মঙ্গলবার তার রায়ে জাতীয় সুরক্ষা আইনে ডা. কাফিল খানকে গ্রেফতার অবৈধ ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে মানবদরদী এই চিকিৎসককে অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি করার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। এই জয় মানবতার জয়। সত্যের জয়। বললেন ডাক্তার কফিল খানের মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.