অয়ন বাংলা ,নিইজ ডেস্ক:-আলো রানির আলো দেখাতে শুরু করলেন ,শয়ে শয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান ।রাজ্য রাজ্য রাজনীতিতে এখন শুধু দলভাঙ্গার খেলা । লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফিরে আসীন হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যে প্রশংসনীয় ফল করার পরনন থেকেই শাসকদল থেকে গেরুয়ায় নাম লেখানোর পালা শুরু হয়েছে৷ দল বদলের এই হিড়িকে গা ভাসিয়েছেন শাসকদলের বেশকিছু তাবড় নেতাই৷ বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এমন ঘটনাও ছোখে পড়লেও সংখ্যায় কম গেরুয়া শিবির ছেড়ে শাসকদলে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা৷ দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে ব্যারাকপুরে অর্জুনের জয় অন্যদিকে বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশুর দলত্যাগে কিছুটা হলেও এলাকায় ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে শাসকদল৷ তবে এবার সেই শাসকদলকে নতুন করে দিশা দেখালেন তৃণমূলের কাঁচরাপাড়ার কার্যকরী সভাপতি আলোরানি সরকার
তার অনুপ্রেরণাতেই মোহভঙ্গ হয়েছে দলত্যাগী বহু তৃণমূল কর্মীর৷ বুধবার তারা ফের আলোরানি সরকারের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরে এলেন৷ সেইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনায় বড়সড় ভাঙন দেখা দিয়েছে বিজেপিতে। বুধবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান ১ হাজার ৩০০ কর্মী। এদিন বারাসতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির একটি বৈঠক ছিল৷ উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল কাউন্সিলর সুজিত দাস, কমল অধিকারী, রিঙ্কু সিংহরায়, সুভাষ চক্রবর্তী। এদিন আলোরানি সরকারের নেতৃত্বে গারুলিয়া থেক ৫৪৮ জন ও বারাসত থেকে ৭৭৮ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন দলের একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজের ভূমিকা প্রমাণ ধরেন আলোরানি সরকার৷
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে শাসকদলের ঘর ভেঙে যেভাবে তৃণমূলীরা বিজেপিমুখো হয়েছেন, তাতে দলে যে শূণ্যতা তৈরি হয় সেই আঘাত কাটিয়ে উঠতে শুরু করছে শাসকদল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির৷ আর এদিন আলোরানির নেতৃত্বে যেভাবে বিজেপির মোহ কাটিয়ে দলত্যাগী কর্মীরা ফের তৃণমূলেই ফিরতে শুরু করছেন তাতে শাসকদল যে আরও চাঙ্গা হচ্ছে তাই স্পষ্ট৷ আজ বাংলায় তৃণমুলে আর বিজেপি তে নদীর একূল ভাঙ্গে ও কূল গড়ে খেলায় মত্ত।