রাজ্যের শাসক দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি হলেও নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে তৃণমূল আর বামফ্রন্ট
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা-ঘাটে এখন নজরে পড়ছে শুধুই তৃনমূলের দেওয়াল লিখন ও ফ্লেক্সের হোর্ডিং। তবে তৃনমূলের থেকে কিছুটা পরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেও বামেরাও তাদের প্রচার তুঙ্গে তুলতে ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে ফ্লেক্সে এলাকা ভরিয়ে দিতে কসুর করছেন না।
এলাকায় এলাকায় শুরু হয়েছে বামেদের প্রচার কার্য। অন্যদিকে শাসক দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি ভোটের প্রথম দু-দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, সেগুলো কলকাতা সংলগ্ন এলাকা নয়। স্বভাবতই: কলকাতা ও সংলগ্ন জেলা গুলিতে এখনও তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষনা না হওয়ায় তারা এখনও প্রচারের কাজ শুরু করতে পারেনি। তাই এব্যাপারে তারা তৃণমূল ও বামেদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে বলে খবর সংবাদ সূত্রের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার তলানিতে নেমে যাওয়ায় তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা বামেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সভা-সমিতি ও সংবাদমাধ্যমে হুংকার ছাড়ছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আই এস এফ) সঙ্গে জোট করে বাম ও কংগ্রেস দলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে বিগ্রেড ভরালেন তা তৃণমূল ও বিজেপি’র কাছে ঈর্ষনীয়। এইসঙ্গেই মুসলিম, সংখ্যালঘু, তপসিলি ও গরীব মানুষের ভোট বাম-কংগ্রেস ও আই এস এফ এর জোট “সংযুক্ত মোর্চা”র ভোট বাক্সে যাওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কোনও রাজনৈতিক বিশ্লেষকও। তাই ভোট কাটাকাটিতে কারা এগিয়ে আর কারা পিছিয়ে যাবে সেটাই এখন দেখার।