ডেস্ক নিউজ:- আমেরিকাকে এবার মোদির সরকাকে সিএএ এন আর সি কড়া মনোভাব ব্যাক্ত করল। নরেন্দ্র মোদিকে যতই বন্ধু বলে বড়াই করুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প সরকার যে মোদি সরকারের সিএএ নিয়ে একটুও খুশি নয় সে বারেবারেও আকারে–ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছিল আমেরিকা। এবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপ–সহ সচিব অ্যালিস ওয়েল্স ফের স্পষ্ট করে দিলেন সেকথা। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসি–তে সাংবাদিক সম্মেলনে সিএএ প্রসঙ্গে অ্যালিসের সাফ মন্তব্য, আমেরিকা সব সময় চাইবে মানুষ যাতে সমান নিরাপত্তা পায় ওই আইনের আওতায়। এমাসের শুরুতেই ১৫ জনের একটি বিদেশি প্রতিনিধিদের দল জম্মু–কাশ্মীর পরিদর্শন করে গিয়েছে।
সেসময় সিএএ বিরোধিতায় দেশে চলা তীব্র আন্দোলনের আঁচও পেয়েছিলেন বিদেশি প্রতিনিধিরা। সেকথা উল্লেখ করে অ্যালিস এদিন বলেছেন, ‘ওই সফরে ভারতের নাগরিক আইনের অগ্রগতি সম্পর্কেও অবগত হওয়ার সুযোগ মিলেছে। যা এখন চরম গণতান্ত্রিক পর্যবেক্ষণের মধ্যে আছে। তা সে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের আকারেই হোক, বা বিরোধী দল, সংবাদমাধ্যম বা আদালতের মধ্যে। আমরা সবসময় গুরুত্ব দেব আইনের আওতায় সবাইকে সমান সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটাতেই।’
এর সঙ্গেই জম্মু–কাশ্মীরে বিনা অভিযোগে আটক রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতেও মোদি সরকারকে বলেছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর।
আর্জির সুরে হলেও দিল্লিকে অ্যালিসের স্পষ্ট, ‘আংশিক কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরে আসার মতো কিছু উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ হওয়ায় আমি খুশি। আমাদের প্রতনিধিদের সফর সংবাদমাধ্যম সম্প্রচারও করেছে। যা বেশ কার্যকরী পদক্ষেপ। কিন্তু আমরা সরকারকে আর্জি জানাচ্ছি আমাদের কূটনীতিকদের স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার সুযোগ দিতে। এবং যে সব রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের বিনা অভিযোগে আটক করে রাখা হয়েছে, তাদের যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়।’
বিদেশি প্রতিনিধিদের জম্মু–কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি এবং পিডিপি, এনসি–র আটক নেতানেত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরার অনুমতি না থাকায় কয়েকজন ইওরোপীয় কূটনীতিক সফরে আসতেও চাননি।
সৌজন্য :-আজকাল পত্রিকা