অয়ন বাংলা,প্রতিবেদন :- ইউএপিএ,আরটিআই ,৩৭০,৩৫এ নিয়ে বিজেপির পদক্ষেপের পরে এর বিরুদ্ধে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মুখে। কথা হল আমরা মোদি আর অমিত করতে করতে নিজেদের অজান্তেই বিজেপি কে কিছুটা আড়াল করে দিচ্ছি। ও ধাপ পার হয়ে বিজেপি করতে করতে একইভাবে সংঘপরিবার ও আরএসএস কে আড়াল করে দিচ্ছি। মুল আলোচ্য বিষয় হওয়া দরকার আরএসএস, সংঘপরিবার। তারাতো তাদের এজেন্ডা গোপন করেনি। প্রকাশ্যভাবেই বলেছে। তাদের সমস্ত সাহিত্যে লিখেছে।নির্বাচনী ইশতেহার এ উল্লেখ করেছে। বিরোধী দলগুলো এ সব কি বিশ্বাস করেনি? নাকি গুরুত্ব দেয়নি? নাকি যৌন সমর্থন করেছে? বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচি কী প্রমাণ করে?
আরএসএস ও সংঘপরিবার তো এই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে ২০২৫ এর মধ্যে ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারতকে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করবে। সেই জন্য সমস্ত প্রস্তুতি তারা প্রায় সেরে ফেলেছে। তারা এটাও বলে আসছে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে না হলে অন্য যে কোন পদ্ধতি গ্ৰহণ করবে। সে কারণেই তারা সরকারী পুলিশ ও মিলিটারির বিকল্প ও সমান্তরাল বাহিনী তৈরি করেছে। বেআইনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। মিলিটারি একাডেমি খুলেছে। এ সব কি বিরোধী দলগুলো ও তাদের নেতারা জানত না ? তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা কেন এ সব বন্ধ করেনি? এ ভাবে বিরোধী দলগুলো আরএসএস ও সংঘপরিবার এর দেশ বিরোধী,জনগণ বিরোধী, ইতিহাস ও বিজ্ঞান বিরোধী সমস্ত কার্যকলাপকে দেখে না দেখার ভান করেছে। না হয় মৌন সমর্থন করেছে।
আরএসএস ও সংঘপরিবার তাদের এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করার জন্য যে পরিশ্রম করে আসছে বিরোধীরা তার দশ শতাংশও করছে না। যেখানে ২০২১ এ আরএসএস ও সংঘপরিবার এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য ম্যাক্সিমাম নাম্বার অফ ম্যাক্সিমাম এফার্ট দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে বিরোধীরা ইন্টেলেকচুয়াল এক্সারসাইজ এ ব্যস্ত। যেখানে আমাদের ভাবা উচিত ছিল আমরা জিততে পারলাম কিনা সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে পারলাম কিনা, সেখানে আমরা ভাবছি ফ্যাসিবাদী শক্তি পরাজিত হল কিনা সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল আমরা জয়ী হলাম কিনা। আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাজ কী।