হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রতিকারের জন্য বহরমপুরে প্রতিবাদ
নিজস্ব সংবাদদাতা :- আপনারা জানেন হোমিওপ্যাথি একটি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞান। হোমিওপ্যাথি ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই কম।অত্যন্ত কম খরচে রোগীকে কোনরকম কষ্ট না দিয়ে, রোগীকে অতি দ্রুত অস্থায়ীভাবে আরোগ্য দিয়ে আসছে। আমার ভাবতে অবাক লাগে,যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ প্রায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াবিহীন ঔষধ দ্বারা দেশের সর্ব সাধারণকে অত্যন্ত কম টাকায় রোগীর চিকিৎসা করে থাকেন। বড় বড় হাসপাতাল থেকে নামিদামি চিকিৎসকগণ রোগীকে হাজার কাটাছেঁড়া করার পরেও যখন রোগীকে সুস্থ করতে পারেন না, তখন তারা অবহেলিত এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দের উপর প্রেরণ করেন এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ বহুলাংশে তার সাফল্য প্রমাণ করেছেন এবং করছেন।যে চিকিৎসক রোগী চিকিৎসা করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখেন, তারা নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না।
গত 14 ই আগস্ট 2021 প্রতিবেশী দেশ,বাংলাদেশের মহামান্য হাইকোর্ট একটি রায় প্রদানের মাধ্যমে হোমিও প্যাথিক চিকিৎসকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আআরোপ করেছেন।মহামান্য হাইকোর্ট হোমিওপ্যাথির অনেক প্রশংসা করেন কিন্তু ডাক্তার পদবী ব্যবহারকারীদের ওপর কোনো শাস্তির ঘোষণা দেননি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এই রায় ঘোষণার পরপরই তথাকথিত কুচক্রী মহল প্রশাসনকে প্রভাবিত করে নিরীহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের ওপর জেল জরিমানা শুরু করেছেন।এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
স্বাধীনতার 50 বছর পরে বাংলাদেশের মহামান্য হাইকোর্ট কেন এই ধরনের সিদ্ধান্তে কেন উপনীত হলেন, হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত দেশের প্রচলিত আইন কেন অসার বললেন এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সেটা বাংলাদেশের মাননীয় সংসদ, আইন প্রণয়নকারী সংস্থা,প্রশাসন ও জনগণের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের পক্ষে নামের আগে ডাক্তার লেখা যাবে না এই ঘোষণা কেন দিলেন, কোন প্রেক্ষিতে দিলেন সেটা বিবেচ্য বিষয় নয় বরং ডাক্তার পদবী ব্যবহার করা যাবে না এ ঘোষণা দিলে বিশ্বের কোটি কোটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দের অপমান করা হয়। বাংলাদেশে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে ও পারিবারিকভাবে হেয় ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি লেখার অধিকার সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও রাষ্ট্র তাকে দিয়েছে। তাই এটা কারোর দয়া ভিক্ষা নয়,এটা তার নাগরিক ও পেশাগত অধিকার।এই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিশ্বের লক্ষ কোটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দের মতো আমরা ও ভারতীয় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসকদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে, তাদের অধিকার আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করি।
এই প্রতিবাদে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গ হোমিওপ্যাথি অধিকার আন্দোলন পরিষদ । এই প্রসঙ্গে এই সংগঠনের নেত্রী সেলিনা বেগম বাংলাদেশের হোমিও প্যাথি চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দেন ।