ড: সুরেশ বাইন, রাহুল চক্রবর্তী এবং লাজপত রাই এর অবিলম্বে মুক্তি চাই।
পাঞ্জাব পুলিশের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন।।
পাঠকের কলম
জোহার
পি পি এস সি (পশ্চিমবঙ্গ)
২৯/৯/১৯
পাঠকের কলম,অয়ন বাংলা:- গতকাল পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা রেল স্টেশন থেকে পাঞ্জাব পুলিশ বেআইনি ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সুপরিচিত গণ আন্দোলন কর্মী ড: সুরেশ বাইন এবং এপিডিআর কর্মীা রাহুল চক্রবর্তী কে বেআইনি ভাবে আটক করে। তাদের সাথে পাঞ্জাবের মানবাধিকার কর্মী লাজপত রাই কেও পুলিশ আটক করেছে। কেন তাদের আটক করা হয়েছে, আটক করে কোথায় রাখা হয়েছে- সে বিষয়ে পাঞ্জাব পুলিশ কিছুই জানাচ্ছে না। সরকারীভাবে তাদেরকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করাও হয়নি। তাদের পরিবারের সদস্যদের এখনও পর্যন্ত কোন খবর দেওয়া হয়নি। অথচ তাদের আটক করা হয়েছে গতকাল বেলা ১২.১৫ মিনিট নাগাদ। অর্থাৎ প্রায় ২৪ ঘন্টা অতিক্রম করতে চলল। পাঞ্জাব পুলিশের প্রতিটি পদক্ষেপ আইন বিরোধী, সংবিধান বিরোধী এবং সুপ্রিম কোর্টের গ্রেফতার সংক্রান্ত নির্দেশিকার বিরোধী। ডি কে বাসু মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছিল যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তাকে জানাতে হবে যে কি অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এ্যরেস্ট মেমো তে পরিবারের লোকেদের দিয়ে সই করাতে হবে এবং তাকে আটক করে কোন স্হানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানাতে হবে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে যেটা জানা যাচ্ছে যে ড: বাইন এবং রাহুল লাজপত রাই এর বাড়ীতে যাচ্ছিলেন। লাজপত রাই এবং তার মেয়ে তাদের রিসিভ করতে স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে পুলিশ তাদের চারজনকে আটক করে। লাজপত রাই এর মেয়েকে দু ঘন্টা বেআইনি ভাবে আটক রাখার পর ছেড়ে দেয়। কিন্তু বাকী তিনজনের কোন খোঁজ খবর এখনও অবধি পুলিশ জানায়নি।
আজ সারা দেশ জুড়েই ফ্যাসিবাদী শক্তির ইন্ধনে নিরাপত্তা বাহিনী সংবিধান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দেশের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটাচ্ছে, ভূয়ো সংঘর্ষে খুন করছে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীদের গ্রেফতার করে জেলে পুরে দিচ্ছে। আমরা, পি পি এস সি র পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রত্যেক টি বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানাই। নির্দিষ্ট ভাবে আমরা ড: সুরেশ বাইন, রাহুল চক্রবর্তী এবং লাজপত রাই কে অবিলম্বে মুক্তি দেবার দাবি জানাচ্ছি। দেশের সমস্ত মানবাধিকার সংগঠন গুলির কাছে আহ্বান রাখছি আটক সাথীদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হোন।
জোহার
পি পি এস সি (পশ্চিমবঙ্গ)
২৯/৯/১৯