রোগী ভর্তি না নেওয়ায় বেহালায় অ্যাপেক্স নার্সিং হোম ভাঙচুর, অথচ ২ দিন আগেই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে রোগী ভর্তি বন্ধ, লাইসেন্স বাতিলের দাবি
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : রবিবার (১৯ মে) করোনা রোগী ভর্তি না নেওয়ায় ভাঙচুর করা হলো অ্যাপেক্স নার্সিং হোম। অথচ এই নার্সিং হোম সম্পর্কে নানা অভিযোগ ওঠায় গত দু-তিন দিন আগে এই নার্সিং হোমে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। নার্সিং হোম কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে এলাকার অধিকাংশ মানুষের বিস্তর অভিযোগ। অভিযোগ, এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার নামে অনৈতিক ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে নিচ্ছে নার্সিং হোম। অথচ দিনের পর দিন নার্সিং হোম কতৃপক্ষের চিকিৎসা বিভ্রাট ও দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন ভর্তি থাকা রোগীরা। এজন্য অবিলম্বে এই নার্সিং হোমের লাইসেন্স বাতিলের জন্য দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত: রবিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ টালিগঞ্জ থেকে এক করোনা রোগীকে ভর্তির জন্য এই নার্সিং হোমে নিয়ে আসে রোগীর বাড়ির লোকজন। এখানে করোনা রোগী ভর্তি বন্ধ রয়েছে জানা মাত্রই তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এই নিয়ে নার্সিং হোম কতৃপক্ষের সঙ্গে তুমুল বচসা বেঁধে যায় রোগীর পরিবারের সদস্যদের। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়, নার্সিং হোমের একতলায় একাধিক জায়গায় ভাঙচুর চলে। খবর পেয়ে বেহালা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে পুলিশ আসার আগেই রোগীর পরিবারের লোকেরা রোগীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
উল্লেখ্য, এই নার্সিং হোম কতৃপক্ষর বিরুদ্ধে চিকিৎসা পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, করোনা সহ যেকোনো রোগীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা অনৈতিক ভাবে লুটে নিচ্ছে এই নার্সিং হোম। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা প্রাপ্য টাকার “মানি রিসিট” দেয় না। চিকিৎসা পরিষেবায় এদের গাফিলতিতে ইতিপূর্বে বহু রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। যা নিয়ে এদের সঙ্গে প্রায়শই: রোগীর পরিবারের সদস্যদের ঝামেলা লেগে রয়েছে। ভাঙচুর, চিৎকার, চেঁচামেচি…. এ যেন নিত্যদিনের ঘটনা। এসব নানা কাণ্ড নিয়ে অভিযোগ যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে। তারা আরও বলেন, তারই প্রত্যুত্তরে গত দু-তিন আগে এই নার্সিং হোমে রোগী ভর্তি বন্ধের নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে অ্যাপেক্স নার্সিং হোমের লাইসেন্স বাতিল করুক রাজ্য সরকার।