১২ ঘন্টায় ২৮ লক্ষ জিও সিম ছাড়ার আবেদন ,কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে

Spread the love

নিউজ ডেস্ক :-    দিল্লির কৃষক আন্দোলনের আঁচ এবার সরাসরি গিয়ে পড়ল আদানি, আম্বানিদের ঘরে। বুধবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎই ট্রেন্ডিং হয়ে যায় বয়কট জিও । কৃষকদের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়ায় নেটদুনিয়ার বাসিন্দারাও। সূত্রের খবর ট্রেন্ড শুরু হওয়ার প্রথম ১২ ঘন্টায় ২৮ লক্ষ গ্রাহক Jio সিম অন্য নেটওয়ার্কে পোর্ট করে নেওয়ার অনুরোধ পাঠিয়েছে। এবং হাজার হাজার মানুষ তাদের মোবাইল থেকে জিও সিম খুলে ভেঙে প্রতিবাদ জানিয়ে তার ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে।

 

সরকার কৃষি আইনের মাধ্যমে কৃষকদের রক্ত পুঁজিপতিদের হাতে সঁপে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই কারণে কৃষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এবার থেকে তাঁরা আদানি-আম্বানির কোনও পণ্য ব্যবহার করবেন না। জিও প্রোডাক্ট  যেমন, ফোন, সিম-ও বয়কট করা হচ্ছে।

 

পাশাপাশি টেলিকম সংস্থাগুলি জড়িয়ে পড়ছে বাক যুদ্ধে ।   এয়ারটেল  ও ভোডাফোনের  সঙ্গে রিলায়েন্স জিও-র  টেলিকম যুদ্ধে এবার ঢুকে পড়ল কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন! সম্প্রতি ট্রাই’কে লেখা এক চিঠিতে মুকেশ আম্বানির সংস্থা অভিযোগ জানিয়েছে, তাদের দুই প্রধান প্রতিপক্ষ ভুয়ো প্রচার শুরু করেছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা প্রচার চালাচ্ছে, নতুন কৃষি আইনের ফলে লাভবান হবে রিলায়েন্স। আর এর ফলে ইতিমধ্যেই বহু গ্রাহক নাকি জিও-র সংযোগ ছাড়ার অনুরোধ জানাতে শুরু করেছেন।

ঠিক কী অভিযোগ করেছে জিও? গত ১০ ডিসেম্বর লেখা ওই চিঠিতে তারা জানিয়েছে, ভোডাফোন আইডিয়া লিমিটেড ও ভারতী এয়ারটেলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্রমাগত ভুয়ো প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে চলেছে। যার প্রভাব পড়েছে সংস্থার গ্রাহকদের মধ্যে। বহু সংখ্যক পোর্ট আউট রিকোয়েস্ট (সংযোগ বাতিলের আবেদন) ইতিমধ্যেই পেয়েছে তারা। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানিয়েছেন, পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁদের। কৃষি আইন সংক্রান্ত ওই অভিযোগের জন্যই তাঁরা জিও ছাড়তে চান। এই পরিস্থিতিতে তাদের অনুরোধ, ট্রাই যেন অবিলম্বে ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও এই অভিযোগ জানিয়েছিল জিও।

মুকেশ আম্বানির সংস্থার এমন অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে তাদের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এয়ারটেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এমন ভিত্তিহীন অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে। এদিকে ভোডাফোন আইডিয়াও অভিযোগটিকে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে সাফ জানিয়েছে, তারা নৈতিকভাবে বাণিজ্যে বিশ্বাস করে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.