রিয়া সেন : বহরমপুর:- – পুলিশ পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন রাজ্য যুব তৃণুমুল নেতা সৌমিক হোসেন এর ছায়া সঙ্গী বহরমপুরের যুব তৃণমূল নেতা বরুণ মাজি । অভিযোগ গতকাল রাতে বহরমপুর পঞ্চাননতলা সংলগ্ন কারবালা রোড়ে বরুন ও তার সঙ্গী সুশান্ত দাস ট্রাক ড্রাইভার দের কাছ থেকে জোর জবর দোস্তি করে টাকা তুলছিলেন । টাকা না দিতে চাওয়ায় তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । এই দিন সন্ধাতে পুলিশ তাদের কে গ্রেপ্তার করে । সোমবার তাদের কোর্ট এ তোলা হবে । পুলিস সুত্রে জানা গেছে বহরমপুর পঞ্চানন তলা ও সন্নিহিত কারবালা রোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে এরা তোলাবাজী করতেন দীর্ঘদিন ধরে। সুনিদৃষ্ট অভিযোগ না থাকায় এতদিন গ্রেপ্তার হননি অভিযুক্তরা। রবিবার পুলিস অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই গ্রেপ্তার করেছে ।
যদিও রাজনৈতিক মহল বরুণ মাজির গ্রেপ্তারের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে অনুমান করছেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে এসে সৌমিক হোসেনকে পাত্তা দেয়নি । সেই নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিক খবরও প্রকাশিত হয়। সেই খবর যে ঠিক নয় ও উদ্দ্যেশ্য প্রণদিত সেটা সোশাল মিডিয়ায় সৌমিক হোসেনের অনুগামীরা পাল্টা প্রচার শুরু করেন । আর এই পাল্টা প্রচারের পুরভাগে ছিলেন বরুণ মাজি। তাদের এই প্রচারে যারপরনায় ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাও। ফলে বরুণ মাজিকে গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে সৌমিক হোসেনকে সমঝে চলার বার্তা দিল প্রশাসন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। জেলায় আরও বেশ কয়েকজন সৌমিক ঘনিষ্ট নেতা কর্মীদের গতিবিধির উপরও পুলিসের কড়া নজর রয়েছে বলে জেলার এক বরিষ্ঠ পুলিস আধিকারিকের অভিমত। বরুণ মাজির গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সৌজন্য :- মধ্যবঙ্গ নিউজ