অয়ন বাংলা, নিউজ ডেস্ক:-আসামে এন আর সি চালু ,ডি ভোটার বাঙালীদের নাম বাদ এক ভয়ঙ্কর চক্রান্ত ফল হিন্দু মুসলিম সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ। হিন্দত্বের নাম করে বিজেপি সরকার গড়েছে, আর আজ অসমে বিশেষ করে হিন্দু বাঙালিদের উপরই অত্যাচার করা হচ্ছে। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তরুণ গগৈ। তিনি বলেন, বিদেশি খেদার পরিবর্তে স্বদেশী কে বিদেশি সাজানো হচ্ছে। প্রকৃত বিদেশিকে চিহ্নিত করতে না পেরে ভারতীয় নাগরিকদের বিদেশি সাজিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে।বিদেশি ট্রাইব্যুনাল যে ধরনের বিচার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তাতে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গগৈ বলেন, ইতিমধ্যে বিদেশি ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ২ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় অপরাধে একজন ভারতীয় নাগরিককে বিদেশি সাজিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। বিদেশি ট্রাইব্যুনালের এই ধরনের কর্মকান্ডের ফলে তাদের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন নাগরিকরা, এ মন্তব্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গগৈর। ডি ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প, বিদেশি চিহ্নিত করার নামে ভুল বিচার প্রক্রিয়ায় হেনস্থার মুখে পড়ে ইতিমধ্যে রাজ্যে ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয় নাগরিক এবং হিন্দু বাঙালি বলে দাবী করেছেন।প্রাক্তন সেনা অফিসার সানাউল্লাহ প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সানাউল্লাহ কে বিদেশি ঘোষণা করে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর পর তার ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল তাতে স্পষ্ট প্রমাণিত সানাউল্লাহ একজন ভারতীয় নাগরিক। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও সানাউল্লাহ কে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করেছেন। অথচ অসমে বাস করা একজন ভারতীয় নাগরিক তথা প্রাক্তন সেনা অফিসার সানাউল্লাহ নিয়ে নীরব রাজ্যের সোনোয়াল সরকার। সরকারের উচিত ছিল এ বিষয়ে আদালতে যাওয়া। প্রয়োজনে সুপ্রিমকোর্টে যাওয়া কিন্তু সরকার কিছুই করেনি। সোনোয়াল সরকারের এ ধরনের ভূমিকাকে দূর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন তরুণ গগৈ। এন আর সি জন্য অসমে 41 জন আত্ম হত্যা করল যার অধিকাংশ ই সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষ।
এই নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে।