অয়ন বাংলা,ওয়েব ডেস্ক:- আসামে অপ্রত্যাশিত ভাবে ইসলামিক স্টেট বা আইএসের সঙ্গে যোগ থাকায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করল অসম পুলিশ। আশ্চর্যজনক ভাবে ধৃতরা সকলেই বিজেপির সদস্য। একাধিক জায়গায় আইএসের পতাকা লাগিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য একালাবাসীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তাদের সঙ্গে আইএস যোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। এছাড়া আইএসের হয়ে তারা কী কাজ করত? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ।জম্মু-কাশ্মীর-সহ ভারতের একাধিক রাজ্যে আগেই তাদের উপস্থিতির প্রমাণ দিয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। তবে অসমেও যে এদের বীজ ছড়িয়ে গিয়েছে তা সত্যিই অজানা ছিল প্রশাসনের কাছে। কেবল তাই নয় সর্ষের মধ্যে ভুত থাকার মতো, যে বিজেপি ভারতীয়ত্ব ও দেশাত্মবোধের কথা বলে তাদের দলের মধ্যেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে আইএস ভাবধারা। জানা গিয়েছে, গত ২ মে গোলপাড়া জেলায় আইএসের ছয়টি পতাকা দেখতে পেয়েছিল স্থানীয়রা। তার ঠিক একদিন পরেই, ৩ মে কোইহাটা এলাকায় একটি মাঠের পাশে গাছে লাগান থাকতে দেখা যায় আইএসের পতাকা। প্রতিটি পতাকাতেই আরবি ভাষায় লেখা ছিল ‘আইএসে যোগ দাও’ বা ‘জয়েন আইএস’। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। ঘটনাস্থল থেকে পতাকাগুলি খুলে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই তদন্তের সূত্র ধরেই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৭ মে নলবাড়ির বেলসোর এলাকা থেকে এদের পাকড়াও করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম, তপন বর্মন, দীপজ্যোতী টাকুরিয়া, সরজজ্যোতী বৈশ্য, পুলক বর্মন, মোজামিল আলি ও মুন আলি। এরা প্রত্যেকেই স্থানীয় বিজেপির সদস্য। এদের মধ্যে ধৃত তপন বর্মন প্রাক্তন কংগ্রেসের কাউন্সিলর বর্তমানে দল বদল করে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য।৭ মে দুদিনের অসম সফরে গিয়েছিলেন রাজেন্দ্র আগরওয়ালের নেতৃত্বে সংসদের ১৬ জনের যৌথ সংসদীয় কমিটি। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল, সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৬ বিষয়ে স্থানীয় সংগঠনগুলির মত নেওয়া। এই কমিটির কাছে জমা পড়েছে ৪০০টি চিঠি। যার মধ্যে এই বিলের স্বপক্ষে যেমন মত দেওয়া হয়েছে, তেমনই বিলের বিপক্ষেও মত দেওয়া হয়েছে। তবে সংসদের কমিটির অসম সফরের আগে আইএসের পতাকা উদ্ধার যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য প্রশাসনকে। বড় অস্বস্থিতে বিজেপি ।
সংবাদের সূত্র (ডিজিটাল ডেস্ক,প্রতিদিন)