নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের মুর্শিদাবাদে জঙ্গি যোগ এর বিষয়ে

Spread the love

ওয়েব ডেস্ক :-   মুর্শিদাবাদের ডোমকলে জঙ্গী সন্দেহে NIA মোট ১০ জন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ৭ জনকে মুর্শিদাবাদ থেকে এবং ওপর ৩ জনকে কেরালা থেকে।

গ্রেপ্তারকৃত যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে আজ সোমবার বহরমপুর সাংবাদিক সংঘে সাংবাদিক সম্মেলন দাবি পেশ করেন APCR এর রাজ্য আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ, বন্দী মুক্তি কমিটির ছোটন দাস, APDR এর মতিউর রহমান, APCR এর জেলা আহবায়ক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এক প্রতিনিধি দল গতকাল ডোমকলে গ্রেফতারকৃত যুবকদের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সরকারি ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের সঙ্গে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দেখা করেন।

আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে মানবাধিকার সংগঠনগুলো নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আব্দুস সামাদ বলেন, এই যুবকদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের যথার্থ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। তুচ্ছ অজুহাতে UAPA প্রয়োগ বাতিল করতে হবে। তাদের জামিন মঞ্জুর করে তদন্ত করতে হবে।

ছোটন দাস বলেন, এই গ্রেফতারের বিষয়ে রাজনৈতিক বাসনা পূর্ণ করা ও ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী এবং বর্ণবিদ্বেষী যে প্রচার হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে APCR এর রাজ্য আহবায়ক আব্দুস সামাদ জানান, ন্যায় বিচারের জন্য আমরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করব।

 

এপিসিআর, এপিডিআর ও বন্দীমুক্তি কমিটি সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মুর্শিদাবাদে আল-কায়দা অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মানুষদের বাড়িতে তথ্যানুসন্ধান করতে যায় ২৭সেপ্টেম্বর। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এদের গ্রেফতার করে। আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ হল:-

গ্রেফতার হওয়া যুবকেরা অনেকেই কেরালে কাজ করে নানান অসংগঠিত ক্ষেত্রে।

এদের বেশিরভাগই লেখাপড়া জানে না। বা জানলেও নামমাত্র।

অনেকেই লকডাউনে কাজ খুইয়ে গ্রামে ফিরেছেন।

) এদের অবস্থা হতদরিদ্র বললেও কম বলা হবে। যে দু-একটি পাকাবাড়ি দেখিয়ে কর্পোরেট(গোদী) মিডিয়া প্রচার করছে, সেগুলো ৮-১০ বছর ধরে তিলে তিলে গড়া। এমনকী পায়খানার চেম্বারকে গুপ্তঘর/সুড়ঙ্গপথ বলে ব্যাপক মিথ্যা প্রচার চালায়

 

কর্পোরেট(গোদী) মিডিয়া সম্পুর্ণ মিথ্যা প্রচার করছে

এলাকায় সবাই অত্যন্ত ভালো ও পরোপোকারী হিসেবে পরিচিত।

 

কোনও অ্যারেষ্ট মেমো, সিজার লিষ্ট দেয় নি NIA। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাও জানায় নি। অনেক বাড়িতে সাদা কাগজ এমন কি ফাকা প্লাস্টিকের প্যাকেটেও বাড়ির লোকেদের জোর করে সই করিয়ে নিয়েছে NIA।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.