অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- অবশেষে মেডিক্যাল রিপোর্টে স্বীকার গণপিটুনিতে মৃত্যু তাবরেজ আনসারির গত জুন মাসে ঝাড়খণ্ডে মোটর সাইকেল চোর সন্দেহে ২৪ বছরের তাবরেজ আনসারী নামের এক যুবককে দীর্ঘ ১৮ ঘন্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এমনটি তাকে জোর করে জয়শ্রীরাম, জয় হনুমান পর্যন্তও বলতে বাধ্য করা হয়। স্যোশাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও মুহুর্তের ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনায় গোটা দেশের রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে পুরো দেশে মিছিল হয়। বিষয়টি নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে দুঃখ প্রকাশ করেন। এমনকি রাষ্ট্রসঙ্ঘে ও তাবরেজ আনসারীর গণপিটুনির বিষয়টি উত্থাপন করে আলোচনা করা হয়। ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয় ও ১১ জনকে গ্ৰেফতার করা হয়। এবং পরে আরও একজন কে গ্ৰেফতার করা হয়।
তাবরেজ আনসারী গণপিটুনির ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ খারিজ করে দেয় রাজ্য পুলিশ। পুলিশ জানায়, তাবরেজ আনসারির গণপিটুনিতে নয়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এর বিরোধিতা করে তাবরেজের স্ত্রী পরভীন সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। রাজ্য পুলিশের তাঁর আস্থা নেই বলেও জানান তিনি। তবে নতুন মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে আসার পরে দেখা যাচ্ছে, পরভীনের আশঙ্কাই সত্যি।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তাবরেজের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে, সারা শরীরে একাধিক আঘাত ও মাথার খুলিতে গুরুতর আঘাতেই ফলেই তাবরেজের হার্ট ফেল করেছে। নতুন মেডিক্যাল রিপোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তাবরেজ আনসারির মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নয়, গণপিটুনিতেই হয়েছে।
জামশেদপুরের এমজিএম মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ এইচওডি-র সই করা রিপোর্টে আঘাতের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। মাথার খুলি ফেটে যাওয়ার জন্যই এমনটা হয়েছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
সম্প্রতি তাবরেজ আনসারীর মৃত্যুর রিপোর্ট কে গড়মিল করে দেওয়া নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, এর ফলে সরকার হয় তাবরেজের মতো মানুষদের কে পিটিয়ে হত্যা করতে মত পোষণ করছে। আর নয়লে রাজনীতি করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আরও মদদপুষ্ট করছে।