বিজেপি কে রুখতে প্রয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্টকে এক হয়ে লড়তে হবে বলে মনে করেন আব্দুল মান্নান

Spread the love

ওয়েব ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- তৃণমূলে পক্ষে ব্যাট ধরলেন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা আবদুল মান্নান। এই বিষয়ে কংগ্রেস দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠিও দিয়েছেন চিঠি। মান্নানের সেই ‘গোপন’ চিঠি ফাঁস হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে প্রবল গুঞ্জন শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির বিকল্প হিসেবে বাম এবং কংগ্রেসের জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। এই বার্তা নিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। ওই চিঠিতে বাম-কংগ্রেস জোটকে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের ওপরে জোর দিয়েছিলেন সোমেন। এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ে এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘকালিন মেয়াদে হাতে হাত মেলাতে প্রস্তুত বামেরাও। প্রদেশ কংগ্রেসের আমন্ত্রণে সম্প্রতি বামফ্রন্টের চার শরিক দলের শীর্ষ নেতারা একসঙ্গে বসে চা খেয়ে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ঘরে।

আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই ভোটে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট একপ্রকার নিশ্চিত ধরে নেওয়া হয়েছিল। এমনকী সেই জোটেপ কতটা প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। এমনই সময়ে প্রকাশ্যে এল ‘ফাঁস হওয়া’ সনিয়াকে লেখা রাজ্যের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানের এই চিঠি।
গত ২৫ অক্টোবর পাঠানো এই চিঠিতে দলনেত্রীকে মান্নান জানিয়েছেন, বিজেপিকে রুখতে গালিয়াগঞ্জে কংগ্রেসকে সমর্থন করতে রাজি আছে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। অন্যদিকে, করিমপুরে বামেদের থেকে কংগ্রেস অনেক দুর্বল। ফলে সেখানে বাম প্রার্থীদের সমর্থন করা যেতে পারে। কিন্তু খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের সুপারিশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল খড়্গপুর সদর। এই কেন্দ্র থেকে টানা ১০ বার বিধানসভায় নির্বাচিত হন জ্ঞান সিং সোহনপাল। ২০১৬ সালে খড়্গপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন চাচা জ্ঞান সিংহ সোহনপাল। তাঁকে হারিয়ে বিধায়ক
হয়েছিলেন চাচা জ্ঞান সিংহ সোহনপাল। তাঁকে হারিয়েই প্রথম বিধানসভায় পা রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সনিয়াকে লেখা চিঠিতে মান্নান জানিয়েছেন, জ্ঞান সিং সোহনপালের প্রয়াণের পর খড়্গপুরে কংগ্রেস ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেখানে বড় সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী এবং নেতা বসে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে ঠেকাতে সেখানে কংগ্রেসের উচিত তৃণমূলকে সমর্থন করা। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার সনিয়ার ওপরে ছেড়ে দিয়েছেন রাজ্যের বর্ষীয়ান এই নেতা।
যদিও গোটা বিষয়টিকে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ আখ্যা দিয়ে এনিয়ে কোনও করতে অস্বীকার করেছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের নেতারা কে, কি বলছেন সে বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করা উচিত না। সামগ্রিকভাবে কংগ্রেস কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটি আমাদের বিবেচ্য। তবে আমরা তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়েরই পক্ষপাতি।’

সৌজন্য:-এই সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.