বেহালায় ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে ভয়ভীতি দেখিয়ে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতিকে দমানোর চেষ্টা, তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছেনা, মন্তব্য স্থানীয় বিধায়িকার
দ্বিতীয় পর্ব………
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : রবিবার (২২ আগস্ট) গভীর রাতে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রূপক গাঙ্গুলীর বাড়িতে গুলি চালনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। আচমকা এইভাবে গুলি চলায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। তবে কি জন্য রূপকবাবুর বাড়িতে গুলিকান্ড…. একথা কেউই স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। এব্যাপারে বেহালা পূর্বের বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কি কারণে গুলি চলেছে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। এই ওয়ার্ডে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে কিনা সেটাও তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলেন নি। তবে রূপক গাঙ্গুলীর উপর শত্রুতা করেই কিছু লোক এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা।
রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিক চট্টোপাধ্যায় বহুদিন আগে মারা গিয়েছেন। তারপর করোনা আবহে ভোট না হওয়ায় এখানে কাউন্সিলর পদটি শূন্য। তাই এখানে বেশ কিছুদিন ধরেই একটা অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। আমি সবে তিন মাস হয় এই কেন্দ্রের এমএলএ হয়েছি। এর আগেও ২/৩ বার এখানে গুলি চলেছে বলে শুনেছি। তবে এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছেনা, পুলিশ তদন্ত করছে, তারপরেই সব বোঝা যাবে। তবে রূপক গাঙ্গুলীর বাড়িতে কেন গুলি চললো সেটা আমিও বুঝতে পারছি না, কারণ রূপকবাবু কোনো সমাজবিরোধী লোক নন…. তবে তিনি ওয়ার্ড সভাপতি হওয়ার পর তাকে হয়তো কেউ কেউ মেনে নিতে পারছেন না, তাই তার উপর হয়তো কোনও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যাবস্থা নেবে…..।”
তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে আমরা আদর্শিত, তাই গুলি-গোলা চালিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবেনা। আমাদের উপর যতোই আক্রমণ হবে, ততোই আমাদের মনের বল আরও বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। কিছু লোক ভেবেছিল ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে…. সেটা কখনোই সম্ভব নয়…।” কারা গুলি চালিয়েছে বলে আপনার ধারণা এমনই এক প্রশ্নে তিনি বলেন, পুলিশি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমি এখনই কিছু বলতে পারব না। তবে নিশ্চিতভাবে দোষীরা ধরা পড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন।
———————————-পরের পর্বে…….
“গুলি কাণ্ডের পিছনে কি রহস্য……?”
**** আমাদের খবরে চোখ রাখুন।