অযোধ্যা রায়ে ‘হতাশ’, ‘হতবাক’, জানালেন রাম কে নাম-এর পরিচালক আনন্দ পট্টবর্ধন বললেন বাবরি ‘জাতীয় স্মারক’, ‘সব ভারতবাসীর’

Spread the love

নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘হতাশ, হতবাক’ বলে জানালেন ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্রের পরিচালক আনন্দ পট্টবর্ধন। ‘রাম কে নাম’ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিল। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির দাবিতে আন্দোলন, তাকে কেন্দ্র করে হিংসার বাতাবরণকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই তথ্যচিত্রে। বহু প্রতীক্ষার পর শেষ পর্যন্ত শনিবারের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ অযোধ্যার ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমির মালিকানা রামলালার বলে জানিয়ে সেখানে মন্দির তৈরির দাবি মেনে নিয়েছে, পাশাপাশি মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার কোথাও ৫ একর জমির ব্যবস্থা করে দিতে বলেছে সরকারকে। পট্টবর্ধন বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে আমি প্রচন্ড হতাশ, হতবাক। বাবরি মসজিদকে জাতীয় স্মারক ঘোষণা করা হয়েছিল। তা শুধুই মুসলিমদের নয়, সব ভারতবাসীর। তিনি আরও বলেছেন, যে রাজনৈতিক নেতারা বাবরি ধ্বংসের পিছনে ছিলেন, তাঁদের কখনও জেলে যেতে হয়নি। উল্টে তাঁদের পুরস্কৃত করা হল এবার। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে মূল্যবোধের সিস্টেমের শপথ নিয়েছিলেন, একমাত্র তার পুনর্নির্মাণের মাধ্যমেই বর্তমান অবস্থা থেকে বাঁচতে পারে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত। প্রসঙ্গত, পট্টবর্ধন তথ্যচিত্রটি বানানোর পর বম্বে হাইকোর্ট ১৯৯৭ এর জানুয়ারি দূরদর্শনে সেটি সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছিল। তাতে ১৯৯০-এ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথযাত্রার ছবি তুলেছিলেন তিনি। তথ্যচিত্র তৈরির কাজে ১৯৯০এর অক্টোবর অযোধ্যায় গিয়েছিলেন পট্টবর্ধন। তিনি বাবরি চত্বরে থাকা একটি মন্দিরের আদালত-নিযুক্ত পূজারী লালদাশের সাক্ষাত্কার নিয়েছিলেন। লালদাশ বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন যে, হিন্দুত্ববাদীরা রাজনৈতিক ক্ষমতার লক্ষ্যে এগচ্ছেন, আর্থিক লোভলালসা দ্বারা তাঁরা চালিত। ১৯৯৩-এ রহস্যজনক ভাবে খুন হন লালদাশ।

আনন্দ বাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.