৫ ই মে তাজমহলে শিবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা করলেন অযোধ্যার পরমহংসাচার্য

Spread the love

৫ ই মে তাজমহলে শিবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা করলেন অযোধ্যার পরমহংসাচার্য

অয়ন বাংলা নিউজ  ডেস্ক: ৫ মে তাজমহলের শিবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন। শনিবার এমনই ঘোষণা করলেন অযোধ্যার তপস্বী ছাউনির বাসিন্দা জগদগুরু পরমহংসাচার্য। এদিন তিনি বলেন, ৫ মে তিনি আগ্রা যাবেন এবং তাজমহলে গিয়ে ভগবান শিবের পুজো করবেন। তাঁর দাবি, আগ্রায় ঐতিহাসিক তাজমহল আসলে তাজমহল নয়, ওটা ভগবান শিবের তেজো মহালয়। শুধু তাই নয়, ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবিও জানিয়েছেন পরমহংসাচার্য। এ প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরমহংসাচার্য বলেছেন, ভারত শুধুমাত্র হিন্দুদের। এখানে থেকে ভারতমাতার জয়জয়কার করতে অস্বীকার করা মুসলমানদের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করে আমাদের ইতিহাস মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা আমি খুঁজে বার করে দেশের সামনে রাখব। নিজের এই বক্তব্যের সমর্থনে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মের জন্য হিন্দু সংগঠনের কাছ থেকে সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন পরমহংসাচার্য।

 

সম্প্রতি তাজমহলে (Taj mahal) প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল অযোধ্যার ছাবনি এলাকার জগৎগুরু পরমহংসাচার্য মহারাজকে। তাঁর তিন শিষ্যকে নিয়ে তিনি তাজমহল দর্শনে পৌঁছলে ওই সাধুর পথ আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানে নিযুক্ত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের নির্দেশেই এই সন্ন্যাসীকে ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মহারাজের আরও অভিযোগ ছিল, গেরুয়া বসন পরে থাকার জন্যই তাঁদের বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের চোখের সামনেই অন্য পর্যটকরা টিকিট কেটে প্রবেশ করতে পারলেও তাঁদের সেখান থেকে কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

 

আর এরপরই বিক্ষুব্ধ ওই যোগীরাজ্যের সন্ন্যাসী তাজমহলে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, তাজমহলের (Taj mahal) নাম আদতে ছিল, ‘তেজো মহালয়।’ জগৎগুরু পরমহংসাচার্য মহারাজের সংযোজন, ”এটি তাজমহল নয়। এটি আসলে ভগবান শিবের মন্দির। মোগলরা এটিকে তাজমহল বলা শুরু করেছিলেন। যা সম্পূর্ণ ভুল।”

 

এই ঘটনার পরেই এবার পরমহংসাচার্য ঘোষণা করেছেন, তিনি আগামী ৫ মে আগ্রায় গিয়ে তাজমহলে শিবের পুজো করবেন। এর আগে, গতবছর পরমহংসাচার্য দাবি করেছিলেন, যে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক। তিনি বলেছিলেন, যদি ২ অক্টোবরের মধ্যে এটা না করা হয়, তাহলে তিনি হাজার হাজার সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে একসাথে জল সমাধি গ্রহণ করবেন। এরপর তড়িঘড়ি প্রশাসনের তরফ থেকে তাঁকে তাঁর বাড়িতেই নজর বন্দি করে রাখা হয় এবং তিনি জল সমাধি গ্রহণ করতে পারেন না।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.