বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে জন বিস্ফোরণ

Spread the love

আন্তজার্তিক নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- এমনিতেই জন বিস্ফোণ তার উপর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাপ। বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার যে বিপুল চাপ, তার মধ্যে এসে পড়েছে নতুন আরও অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী। যাদের সিংহভাগই নারী। অশিক্ষিত রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের কারনেই জন্ম নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী নয়। ফলে এই শরণার্থী অবস্থায় ভাসমান জীবনেও থেমে নেই তাদের অরক্ষিত যৌন সঙ্গম। ফলে জন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার শিশু। যার পুরো চাপটাই এসে পড়ছে আশ্রয়দাতা দেশ বাংলাদেশের ওপর। বন জঙ্গল উজাড় করে যেমন তারা হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করছে, তেমনি গণহারে শিশু জন্ম দিয়ে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের এক মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলছে বাংলাদেশকে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো যুক্ত হচ্ছে মারাত্মক সংক্রামক সব রোগ!সরকারি হিসাবমতে, গত ২০ মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জন্ম নিয়েছে দেড় লক্ষেরও বেশি শিশু। আর বর্তমানে গর্ভবতী আছেন আরও ৩৫ হাজার নারী। তবে বেসরকারি হিসাবমতে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।জন্মের এই উচ্চহার যদি অব্যাহত থাকে তা হলে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সে চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা না গেলে সামনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।কক্সবাজারে কর্মরত ইউনিসেফ এর এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক আমাদের ঢাকা অফিসের জরিপ অনুযায়ী, গত ১ বছরে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার নবজাতক জন্মগ্রহণ করেছে এখানে। অন্যদিকে কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গর্ভবতীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৩২ জন। সে হিসাবে চলতি বছর শেষ হতেই বর্তমানে অবস্থানরত রোহিঙ্গার সঙ্গে যোগ হবে আরও প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা। সেভ দ্য চিলড্রেন এর জরিপমতে দিনে প্রায় ১৩০টি করে রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিচ্ছে।কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, অনেক ভয়ের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছি। রাতে ঘুম হয় না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে কান্না আসে। এই রোহিঙ্গা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে আমার প্রাণ প্রিয় অঞ্চল। পাহাড়-পর্বত জমি সব রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। আর দিনের পর দিন তাদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি নানা প্রকার অপরাধও বাড়ছে।উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মদ বলেন, আমরা এখন নিজ শহরে বন্দি হয়ে বসবাস করছি। কারণ ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের বনভূমি, পাহাড়, জলাধার, রাস্তাঘাট, প্রাকৃতিক পরিবেশ এমনকি কর্মসংস্থানের পরিবেশও ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের দামসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.