নিউজ ডেস্ক:- বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা চিঁড়ে খায়, দেখে তাদের চেনা যায়, বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়: তাঁর বাড়িতে কিছুদিন আগে কয়েকজন রাজমিস্ত্রী কাজ করেছেন। তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ধরন দেখে তাঁর সন্দেহ, ওঁরা ভারতীয় নন, বাংলাদেশী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে একটি জনসভায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এ কথা বলেছেন।
মানুষের খাদ্যাভ্যাস দেখেই তিনি বুঝে গিয়েছেন কারা বাংলাদেশি। এমনই দাবি করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে যে নির্মাণকাজ হয়েছে, তার শ্রমিকদের কয়েকজনকে তাঁর বাংলাদেশি বলে মনে হয়েছে। খাওয়ার ‘অদ্ভুত’ অভ্যেস দেখেই নাকি তিনি বুঝেছেন, ওই শ্রমিকরা বাংলাদেশি।
সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। তিনি দেখেন, কয়েকজন নির্মাণ কর্মীর ‘খাওয়ার অভ্যেস অদ্ভুত’। তাঁর কথায়, ‘কয়েকজন শুধু পোহা (চিঁড়ে)-ই খেয়ে যাচ্ছিল।’ এই দেখে তাঁদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ হওয়ায় সুপারভাইজার ও কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
পরে এ বিষয়ে বিজয়বর্গীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান, ‘এই কর্মীরা বাংলাদেশের নাগরিক বলে আমার সন্দেহ হয়। আমার সন্দেহ হওয়ার দুদিনের মধ্যেই তাঁরা আমার বাড়িতে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আমি এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ জানাইনি। মানুষকে সতর্ক করার জন্যই আমি এই ঘটনার উল্লেখ করছি।’
নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে আয়োজিত একটি সেমিনারে বিজেপির শীর্ষ নেতা দাবি করেন, প্রায় এক-দেড় বছর ধরে তাঁর উপর নজর রাখছে এক বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী। তাঁর কথায়, ‘আমি যেখানেই যাই, সেখানেই ৬ জন সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী আমায় অনুসরণ করে। এই দেশে এটা কী হচ্ছে? বাইরের লোকেরা ঢুকে এ ভাবে সন্ত্রাস ছড়াবে?’ তিনি আরও বলেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। দেশের স্বার্থেই CAA হচ্ছে। প্রকৃত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে এই আইন। এই আইনের দ্বারাই দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অনুপ্রবেশকারীদের ধরা সম্ভব হবে।’