নিউজ ডেস্ক :- গরুকে রাষ্ট্রিয় মাতা হিসেবে ঘোষণার দাবি থেকে গোমাংস ভক্ষণের অভিযোগে মানুষ হত্যা সব কিছুই চলে তথাকথিত মাতৃ সম গরুর ভক্তির নামে। আর এই সব কিছুর পিছনে আছে কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপি। এই গোভক্তির নামে রাজনীতি করা বিজেপি বেশিরভাগ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ করেছে গোহত্যা এবং গোমাংস ভক্ষণ। কিন্তু বানিজ্যিক কারণে সেই গোভক্তি বাদ দিয়ে গোহত্যা বৈধতা দিয়ে রেখেছে গোয়ার বিজেপি সরকার। ঠিক সেই সময় সেই গোয়ায় এবার দেখা দিল গোমাংসের ঘাটতি।
সামনে ইংরেজি নববর্ষ। এই সময় পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য গোয়ায় গোমাংসের চাহিদা ওঠে তুঙ্গে। তাই গোমাংসের ঘাটতিতে চিন্তিত রাজ্যের মাংস ব্যাবসায়ী, দোকান মালিক এবং ক্রেতারা। তাই মাংস ব্যাবসায়ীদের তরফ থেকে সরকারের কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য কর্ণাটক এই মাংসের যোগান দেবে।
মহারাষ্ট্র সরকার ২০১৫ সালে গোমাংস ক্রয়, বিক্রয়, বাজারজাতকরণ এবং গোমাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে গবাদি পশু ক্রয় করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে গোয়া বিফের জন্য কর্ণাটকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কর্ণাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার গো ভক্তির রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে গোহত্যা, গোমাংসের ভক্ষণ এবং এর ব্যাবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফলে চরম সংকটে পড়েছে গোয়া। প্রতিদিন গোয়াতে গোমাংসের চাহিদা ১৫-২০ টন। সেই চাহিদা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেছেন, রাজ্যের পশু ফার্মের মালিকদের সঙ্গে এবং রাজ্যের সেক্রেটারির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, খুব শীগ্রই কর্ণাটক থেকে গোমাংসের সরবরাহ পুনর্বহাল করা হবে।”