জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তি
অয়ন বাংলা,প্রেস রিলিজ:- মুর্শিদাবাদের মিলন মন্ডলের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্কার এই সময়ে ভোটার লিস্টে নাম বা ডকুমেন্টসে সংশোধনীর কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হোক। রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সংগে কথা বলুক।
আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সংশোধন করতে না পেরে এনআরসি’র ভয়ে, ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদের ভয়ে মুর্শিদাবাদের মিলন মণ্ডল আত্মহত্যা করলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে জুড়ে নির্বাচন কমিশন আধার কার্ড, ভোটের কার্ড সংশোধন করার কাজটি তখনি শুরু করল, যখন পাশের রাজ্য আসামে বহু জনগণকে উৎখাতকারী এনআরসি নামক বস্তুটি ঘটানো হল। তার উপর স্মৃতি ইরানী বা দিলীপ ঘোষের বাংলায় এনআরসি করার একের পর এক হুমকি। ফলত, সাধারণ মানুষের মনে ভোটের কার্ড, আধার কার্ড সংশোধনীর সাথে এনআরসিকে জুড়ে এক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের স্কুল গুলোতে ১৯৬০ সাল থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। বিএলআরও গুলোতে ১৯৬০ সালের সময়ের জমির কাগজ তোলার জন্য প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। পয়সা দিয়ে কাগজ তৈরির জন্য গরিব মানুষদের প্রচণ্ড হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। জনগনের কষ্টার্জিত পয়সা তছরুপের এক ব্যবসা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, ভয়মুক্ত দেশে বাঁচার অধিকার, এলাকা থেকে উৎখাত হওয়ার ভয়ে দিনের পর দিন হেনস্থা না হওয়ার অধিকার সবই আজ ভূলুন্ঠিত। শুধুমাত্র বিধানসভাতে এনআরসি না হওয়ার প্রস্তাব নিলেই হয় না, প্রস্তাব কার্যকরী করার জন্য ডকুমেন্ট তৈরি বা সংশোধনের নামে সাধারণ মানুষের হেনস্থা হওয়াটাকেও আটকাতেও হয়।
তাই বর্তমানে এনআরসি নিয়ে বাংলার মানুষ যেভাবে শঙ্কিত, এই সময়েই আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড সংশোধনীর কাজটা কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হোক। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে মিলে নির্বাচন কমিশন যেভাবে মানুষকে অবর্ণনীয় হেনস্থা হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, রাজ্য সরকার তার বিরোধী অবস্থান নিক ও সাময়িকভাবে ডকুমেন্ট সংশোধনীর কাজ মুলতুবি রাখুক।
আমাদের মনে রাখা উচিত, মিলন মণ্ডল’রা আত্মহত্যা করছেন না, এনআরসি নামক বস্তুটির ভয় তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। তাই রোহিত ভেমুলার মতো এটিও সাধারণ আত্মহত্যা নয়, প্ররোচনামূলক হত্যা। এর দায় কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিতেই হবে।
রঞ্জিত শূর, এপিডিআর।