নিউজ ডেস্ক:- ‘বড় দাদা’ বিজেপির ইচ্ছায় ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন নীতীশ কুমার। আর এরপর থেকেই তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বিড়ম্বনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে বিহারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরীকে নিয়ে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, বিহারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার পর জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন। কিন্তু তিনি তা সঠিকভাবে গাইতেই পারছেন না। মাঝের শব্দ ভুলে গিয়ে অন্য শব্দ ধার করে জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন!
মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম তাঁর অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে প্রথম এই ভিডিয়োটি সামনে আনেন। যদিও ভিডিয়োটি পুরনো। সেটি প্রকাশ্যে আসতেই আরও চেপে ধরেছে বিহারের সবচেয়ে বড় দল আরজেডি। সঞ্জয় নিরুপমও কটাক্ষ করে ট্যুইটে লেখেন, ‘ইনি হলেন বিহারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী। শোনা যায়, তিনি নাকি এর আগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। কী অবস্থা জাতীয় সঙ্গীতও ঠিকমত গাইতে পারছেন না! নতুন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। ভারতীয় গণতন্ত্রের এই পাপ ধোবে কে?’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দূরে সরিয়ে রেখে এরকম ‘বিকৃত–মনস্ক’ নেতাকে কেন শিক্ষামন্ত্রী পদে বসানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে আরজেডি। উল্লেখ্য, বিহারের নতুন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই। তাছাড়াও ২০১৭ সালে ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী–অধ্যাপক এবং গবেষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে জেডিইউ বিধায়ক মেওয়ালালের বিরুদ্ধে।
নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করে বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব টুইটারে লিখেছেন, ‘ক্ষমতার জোরে অপরাধীদের বাঁচানো হচ্ছে। মেওয়ালাল চৌধুরিকে নিয়োগ করে চুরি–ডাকাতির ছাড়পত্র দিয়ে দিল নীতীশ সরকার। গদি বাঁচাতে অপরাধ, দুর্নীতি এবং সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বড় বড় কথা বলেই যাবেন নীতীশ। সংখ্যালঘু সম্পদায়ের কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল না। অথচ ওদের বেশিরভাগ বিধায়কই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত।’
সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা