শোভন-বৈশাখী দল ছাড়ায় দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বিপাকে বিজেপি, নিশ্চিত জয়ের মুখে তৃণমূল, দাবি তৃণমূল সূত্রের
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বেহালা পূর্বে প্রার্থী না করায় ক্ষোভে দল ছাড়লেন তিনি। পাশাপাশি তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ও অভিমানে বিজেপি’র সঙ্গ পরিত্যাগ করে দল ছেড়েছেন। যার ফলে শোভনের খাসতালুক বলে পরিচিত দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি’র জেলা নেতারা এখন বিপাকে পড়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর এই সুযোগেই বেহালা পূর্ব ও পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে ১০০ % শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি জেলাতেও তারা প্রায় ২৫/২৬ টা আসনে জয়ের মুখে, এমনটাই দাবি তৃণমূল সূত্রের।
প্রসঙ্গত: বিজেপি’র হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে নেমেই দক্ষিণ কলকাতার বেহালা, ঢাকুরিয়া সহ একাধিক এলাকা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা, ডায়মন্ড হারবার, রায়দীঘি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড় তুলেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি’র এক পুরনো কর্মী বলেন, “শোভন দা দল ছাড়ায় আমরা নিচুতলার কর্মীরা চাপে পড়ে গেলাম….”
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “এক সময় তৃনমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন শোভন দা। স্বাভাবিক কারণেই এই জেলাতে তার প্রভাব প্রতিপত্তি অবর্ণনীয়। তিনি বিজেপি’র হয়ে প্রচারে নামায় এই জেলায় তার অনুগামী অসংখ্য তৃণমূল কর্মীর সমর্থনও আমরা পাচ্ছিলাম। জেলায় তৃণমূল প্রভাবিত বিভিন্ন এলাকায় আমাদের বিজেপি’র মিটিং মিছিলগুলি আমরা সহজেই সংগঠিত করতে পারছিলাম। তাকে ও বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে দল টিকিট দিলে এই জেলায় ৩১ টা আসন সহ কলকাতার ১১ টা আসনেই আমাদের বিজেপি উপকৃত হতো। সেটা না হওয়ায় আমরা কিছুটা বিপাকে পড়ে গেলাম….।” অন্যদিকে খুশির হাওয়া বেহালার তৃণমূল শিবিরে। কারণ বেহালা পূর্বে বিজেপি প্রার্থী চিত্রতারকা পায়েল সরকার রাজনীতিতে আনকোরা, তার উপর বহিরাগত প্রার্থী। এছাড়া এখনও পর্যন্ত তার প্রচার কার্যই শুরু করতে পারেনি বিজেপি।
পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি’তে থাকলে শোভন অনুগামী তৃনমূল কর্মী-সমর্থকদের বিশাল সংখ্যক একটা ভোট বিজেপি’র বাক্সে পড়ত। সেটা এখন আর বিজেপি’র ভোট বাক্সে পড়ার সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিক কারণেই বিজেপি-ই ক্ষতিগ্রস্থ হলো বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।