*প্রেস বিজ্ঞপ্তি*
নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। দ্বিগুণ দূরে থাক, তিনটি কৃষিবিল গা-জোয়ারি পাশ করিয়ে কৃষিক্ষেত্র সহ গোটা কৃষকসমাজকেই পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিল বিজেপি। এ-দেশের কৃষকরা তা যে কোনওভাবেই মেনে নেবেন না, ২০টি রাজ্যের ২৫০টি কৃষক সংগঠনের সম্মিলিত ভাবে দেশজোড়া ধর্মঘটের ডাক ও রাস্তার দখল নেওয়া তারই প্রমাণ। স্তব্ধ দেশের শস্যভাণ্ডার বলে খ্যাত পঞ্জাব, হরিয়ানা। হিমাচলপ্রদেশ থেকে কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মহারাষ্ট্রের কৃষকরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের সব ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিয়ে রাস্তায়। দেশজোড়া কৃষক বিক্ষোভ ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে।
*কেন এই বিল জনবিরোধী:*
১) কো অপারটিভ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করবে। এটা ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবনার পরিপন্থী।
২) আগের নূন্যতম মূল্য এর গ্যারান্টি আর থাকবে না। কর্পোরেট সংস্থা গুলি দাম ঠিক করবে।
৩) বড় সংস্থা গুলো ছোট চাষীদের উপর আগ্রহী থাকবে না। তারা তাদের সত্তা হারাবে ।
৪) সাধারণ চাষীরা আইনি লড়াই এ বহুজাতিক সংস্থার সাথে পেরে উঠবে না।
৫) সমস্ত ক্ষুদ্র চাষীরা অনলাইনে কেনা বেচা করতে পারবে না।
৬) কন্ট্রাক্ট ফারমিং এর জটিলতা ও ফ্রেমওয়র্ক করা চাষীদের পক্ষে মুস্কিল হবে।
৭) নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণের কোনো ব্যবস্থা নেই।
৮) খাদ্যদ্র্যের উপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। রাজ্য সরকার জানতেই পারবে না, কত খাদ্য মজুত থাকবে।
৯) যুদ্ধ, মহামারীর মত অবস্থায় খাদ্যের যোগান এর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে না থেকে কর্পোরেট দের হাতে থাকবে, যা মন্বন্তরের জন্ম দিতে পারে।
*জনবিরোধী এই বিলের বিরুদ্ধে আজ ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’-র পক্ষ থেকে বিকাল ৩টের সময় বীরভূমের মুরারই নতুন বাজার থেকে এক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিলো। সহস্রাধিক মানুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। আগামীদিনে সারা রাজ্য জুড়েই এই বিলের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুত নিচ্ছে ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ।