গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে চার হাজার নেতা-কর্মী ঝাড়গ্রামে

Spread the love

ডেস্ক নিউজ :- বিজেপি ছেড়ে মানুষ প্রতিদিনই তৃণমুলে যাচ্ছে। এবার বিজেপির গড় ঝাড়গ্রামে বিজেপি ত্যাগ প্রায় চার হাজার নেতা কর্মীর । পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিজেপি যে সব জেলাতে ভালো ফল করে তার মধ্যে অন্যতম হল ঝাড়গ্রাম। এই জেলাতে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অনেকগুলি আসনে জেতার পাশাপাশি তারা জেলা পরিষদের তিনটি আসনে জেতে। হারিয়ে দেয় জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর একই ধারা অব্যাহত রেখে জিতে যায় লোকসভা আসন। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে এই লোকসভা আসন ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। জঙ্গলমহলের এই জেলাতে অনেকটা ব্যাক ফুটে চলে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। দিন কয়েক আগে ঝাড়গ্রাম শহরে বড় মিছিল বের করে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় পদ্ম শিবির। এই বার এই এলাকায় বড় ধাক্কা খেল বিজেপি।

শনিবার ঝাড়গ্রাম শহরে শুধু মাত্র বড়ো মিছিল করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। শুধু তাই না, এদিন ঝাড়গ্রাম, জামবনি সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় চার হাজার নেতা কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বীরবাহা সোরেনের দাবি এদিন যারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তারা বেশীর ভাগ এসেছে বিজেপি থেকে।

এদিন যারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তাদের মধ্যে আছেন এলাকার অসংগঠিত শ্রমিক সংগঠনের জেলা সহ সভাপতি সুদীপ ব্যানার্জি। যিনি এই এলাকায় বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বে ছিলেন সেই সুব্রত নন্দীও যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

বীরবাহা সোরেনের দাবি বিজেপি থেকে আরও অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে আগ্রহী। তাদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। যদিও জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথি দাবি করেছেন যে সুব্রতকে আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.