ওয়েব ডেস্ক: – মুখতার আব্বাস নকভি , শাহানওয়াজ হোসেনেদের স্ত্রী’রাও তো হিন্দু্… এ ছাড়াও বিজেপি অনেক নেতা নেত্রীর মেয়েদেরও হিন্দু ঘরে বিয়ে হয়েছে। । ‘লাভ জেহাদ’ ইস্যুতে বিজেপিকে (BJP) পালটা দিতে গিয়ে মাত্রা ছাড়ালেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং । মধ্যপ্রদেশের মহাগুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনের আগে যা বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে কংগ্রেসকে।
আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের ২৮ আসনের উপনির্বাচন। আর এই উপনির্বাচনের উপর নির্ভর করছে শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের ভবিষ্যৎ। তার আগে সরগরম মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি। মোদি জমানার আর পাঁচটা নির্বাচনের মতো মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনেও অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাভ জেহাদ’। আর এই লাভ জেহাদ নিয়ে পালটা দিতে গিয়েই দুই শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে হওয়া এক ভিডিওতে দিগ্বিজয় সিংকে বলতে শোনা গিয়েছে, “একটা মুসলিম ছেলে, একটা হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করলেই লাভ জেহাদ হয়ে গেল! মোদিজির মন্ত্রিসভার সদস্য মুখতার আব্বাস নকভির স্ত্রী তো হিন্দু। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা শাহানওয়াজ হোসেনের স্ত্রীও তো হিন্দু। তাহলে কি এঁরাও লাভ জেহাদ করেছেন? আসলে ওদের কাছে কোনও বাস্তব ইস্যু নেই। তাই ওঁরা সব সময় হিন্দু-মুসলমান করে।” দিগ্বিজয়ের এই ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ ভাল চোখে নেয়নি বিজেপি। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে রীতিমতো তুলোধোনা করছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতারা।
মোদি জমানায় দেশে জ্বলন্ত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাভ জেহাদ’ । ভিনধর্মের, বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেরা হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেই সেই সম্পর্ককে ‘জেহাদ’ হিসেবে দেগে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় এই ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী প্রচার গেরুয়া শিবিরকে ভোটের ময়দানেও সুবিধা দিচ্ছে। সামনে মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে হরিয়ানার ফরিদাবাদে নিকিতা হত্যাকাণ্ডকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সেই প্রচেষ্টার পালটা দিতে গিয়েই এবার বিজেপি নেতারদের ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করে বসলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
বিজেপি র প্রথাগত সেই একই কৌশল হিন্দুত্বের দোহাই দিয়ে ভোট রাজনীতি ,কখনও ঘর ওয়াপসি .কখনও লাভ জিহাদ আবার কখনও হিন্দুত্বের নামে নোংরা রাজনীতির খেলা এই ভাবেই বিভাজনের রাজনীতি করে ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল । উন্নয়নের নামে ,দেশের আর্থিক সমস্যার নামে নেই কোন আলোচনা দিশা । নেই কোন বেকার সমস্যার সমাধানের নির্দিষ্ট লক্ষ্য । এই ভাবে দিশাহীন রাজনীতি দেশকে এক অর্থনৈতিক গভীর সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ।