ওয়েব ডেস্ক :- কলকাতা: রাজ্যে বর্তমানে বিজেপি বিধায়দের সংখ্যা ৭৫। ভোটে জয়লাভ করার পরও দুই বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় কমেছে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা। বিরোধী শিবিরের দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই অবস্থায় অন্তত ৩৩ জন বিজেপির বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টি নিয়ে আজ জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের দলবদল! ‘তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন ৭২ জন বিধায়য়ক’, এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন রাজ্য BJP-র নেতা। তিনি বললেন, ‘ ‘প্রত্যেকের জন্য শুভেচ্ছা রইল’।
কুশের নির্বাচন মেটার পর দলবদলের পালা নয়া মোড় নিল। যেসব রাজনৈতিক নেতারা তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলেন, ফল ঘোষণার পর এখন সেই নেতারাই ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এই প্রেক্ষাপটে এবার সাংবাদিক বৈঠকে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন BJP নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, ‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে, ৭২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যাচ্ছেন’।
এই প্রসঙ্গে শমীক আরও বলেন, ‘প্রত্যেকের জন্য শুভেচ্ছা রইল। যে যেখানে গিয়ে শান্তি পাবেন, তাঁরা শান্তিতে থাকুন। কাউকে জোর করে দলে আনেনি বিজেপি। কারও আঁচল না ধরে এই দল নিজের গতিতে এগিয়েছি’। তিনি আরও বলেন, ‘দল থেকে একজন চলে যাওয়া মনে দলের ক্ষতি। যারা BJP-তে রাজনীতি করতে এসেছেন, তাঁরা সম্পৃক্ত আছেন। কিছু জায়গায় ভয় দেখিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। এভাবে BJP-কে আটকানো যাবে না’।
বিজেপি নেতার কাছে শনিবার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে কিছুটা গুরুগম্ভীর হয়ে পড়েন তিনি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কিছুটা রুষ্ট কণ্ঠে বলে ওঠেন, “আমাদের কাছে তো খবর আছে ৭২ জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে যাচ্ছে।” স্পষ্টত কিছুটা খোঁচা মারার কায়দায় কথাটা বলেন তিনি। অর্থাৎ তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া যায় তিনি সত্যিই বলছেন, তবে বাংলায় বিজেপির বিধায়ক থাকবে ৩ জন। যা গত বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল।
শমীক আরও বলেন, ‘তৃণমূলের বহু মানুষ যোগাযোগ করেছিলেন। অনেকে এসেছেন। অনেকে এখনও আসেননি। কিছু নেতা এখনও যোগাযোগ করছেন’। তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস দল তো অন্যদের নিয়ে তৈরি করা হল। কংগ্রেস থেকে জন্ম নিয়ে অশান্ত শিশু ওরা’।
উল্লেখ্য, তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বাড়িয়েছেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে ঘিরে। সেই সঙ্গে মুকুল রায়কে ঘিরেও জল্পনা চলছে। অন্যদিকে, প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরেও জল্পনা চলছে।
শনিবার তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকেও দলবদলুদের দলে ফেরানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না। শুধুমাত্র সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বললেন, ‘দলে যাঁরা ফিরতে চাইছেন, সে ব্যাপারে তৃণমূলনেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন’। অর্থাৎ, দলবদলুদের দলে ফেরানো নিয়ে শেষ কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমোই। প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পর কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে দলবদলুদের দলে ফেরার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে? এলে স্বাগত!’ তৃণমূলনেত্রীর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।