ওয়েবডেস্ক:- ক্রমাগত হেরেই চলেছে মোদি অমিত শাহরা। ঝাড়খণ্ডে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল জোট। সোমবার, ভোট গণনার শুরু থেকেই দুপক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছিল। কিন্তু, বেলা যত গড়াতে থাকে ততই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকেই ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। আর তাতেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায় পালাবদলের ইঙ্গিত। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা অতিক্রম করেছে জেএমএম জোট সঙ্গীরা।এ দিন ফলাফল স্পষ্ট হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই জোট শিবিরের উল্লাসের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও জেএমএম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে যায়। আবার কোথাও বাজি পোড়াতে শুরু করেন কংগ্রেস ও জেএমএম সমর্থকরা। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলির বেশির ভাগই এবার বিজেপির থেকে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটকেই এগিয়ে রেখেছিল। রাজ্যের একক গরিষ্ঠ দল হেমন্ত সোরেনের জেএমএম। রাজ্যের নবীনতম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের সরকার সামলাবেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন। জয়ের পর রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেমন্ত। পাশপাশি জোটসঙ্গীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে।
এদিন ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই পরিষ্কার হতে থাকে যে, রাজ্যে বিজেপি আর ফিরছে না। এরপর থেকেই খুশির হাওয়া জেএমম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট শিবিরে। নিজের বাসভবনে বেশ খোশ মেজাজেই দেখা গেল হেমন্ত সোরেনকে। সাইকেল চালিয়ে হাল্কা মুডে দেখা দিলেন হেমন্ত।
২০০০ সালে গঠিত ঝাড়খণ্ড রাজ্য গত মাসেই ২০ বছরে পা দিয়েছে। ছোট্ট এই রাজ্যে নয় বার সরকার গঠিত হয়েছে। তিন বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। এটি রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে রঘুবর দাসের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পন্ন করতে পারে। বিজেপির জোটসঙ্গী হয়েও সরকারে ছিল জেএমএম। ২০১৩ সালে বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় জেএমএম। এরপরই রাজ্যে কেন্দ্রের শাসন চালু হয়। সেবছর জুলাই মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন
হেমন্ত। মাত্র এক বছরের জন্য সেই সরকার টিকেছিল। ২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনে রঘুবর দাসের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠন করে। মাত্র কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রে সিঙ্গল লার্জেস্ট পার্টি হওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি। শিবসেনা সমর্থন না দেওয়ায় ক্ষমতা থেকেও সরতে হয়েছে বিজেপিকে। এদিকে ঝাড়খণ্ডে জোট শরিকদের সমঝোতায় বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারল জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি।