ওয়েব ডেস্ক :- সোমবারই বলরামপুরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভও সেই সভায় ছিল উপচে পড়া ভিড় আর এদিন যোগীর সভায় ফাঁকা মাঠ , ভোটারদের দেখা নাই । ফাঁকা মাঠে ,গেয়ে গেলেন হিন্দুত্বের জয়গান । এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় BJP-কে উৎখাতের হুঙ্কার দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আহত বাঘ আরও বেশি ভয়ঙ্কর। আমি জীবনে অনেক আঘাত-প্রত্যাঘাতের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কখনও মাথা নত করিনি। শরীরের যন্ত্রণার থেকে হৃদয়ের যন্ত্রণা অনেক বড়। বাংলাকে ঘিরে চক্রান্ত চলছে। অশুভ শক্তির বিনাশ চাই। সে জন্যই আমাকে বেরতে হবে।’
জঙ্গলমহলের এই মাঠেই সভা করেছিলেন তৃণমূলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পালটা মঙ্গলবার সভা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ । বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, কোণায় কোণায় ভিড়ে ঠাসা থাকবে ময়দান। কিন্তু ছোট মাঠই এদিন ভরাতে পারল না বিজেপি। কার্যত ফাঁকা মাঠেই হিন্দুত্বের জয়গান করলেন বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টার বয় আদিত্যনাথ। অবশ্য রাজ্যের শাসকদল বিজেপির সমর্থকদের সভায় আসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথ।
যোগীর দাবি, “২০১৯ সালে আমি পুরুলিয়া এসেছিলাম। সেই সময় আমার হেলিকপ্টার নামতে দেয়নি বাংলার সরকার। ঝাড়খন্ডে নেমে তারপর সড়ক পথে এসে আমি দেখেছি এখানকার মানুষের কত উৎসাহ তাই আমি এবার ঠিক করেছি নির্বাচনী প্রচার পুরুলিয়া থেকে শুরু করব।” তবে তাঁর সভায় যে ভিড় হয়নি, তা মানতে রাজি নন যোগী। ফাঁকা সভা নিয়ে তাঁর সাফাই,”আমি হেলিকপ্টার থেকে দেখছিলাম এখানকার কার্যকর্তাদের সভায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদেরকে বাধা দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় আটকে দিচ্ছে পুলিশl আমার বিশ্বাস ছিল সেই বাধা ভেঙে সভায় ভিড় হবে। পরে সবাই ভিড় তা প্রমাণ করে দিয়েছে।”
এরপরই সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করেন যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, “জয় শ্রীরাম বললে মমতাদি রেগে যাচ্ছেন। আর এখানে আমাকে জয় শ্রীরাম বলে অভিবাদন করছেন। তাই এখন মমতাদি মন্দিরে গিয়ে চন্ডীপাঠ করছেন। এটাই পরিবর্তন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল গান্ধীকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি যোগী। এদিনের সভা থেকে যথারীতি তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন তিনি।
তবে এদিনের যোগীর ‘ফাঁকা’ সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ও। বললেন, বাংলায় জিততে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দিল্লি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জার করছেন। প্রচার করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে যোগী আদিত্যনাথকে আনছে। অথচ তাঁদের সভা ভরছে না। পুরুলিয়ার মানুষ বহিরাগতদের প্রত্যাখ্যান করেছে।”
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন