‘মোস্তাক হোসেন : জীবন ও ঐতিহ্য’ সম্পর্কে গবেষণা গ্রন্থটি উদ্বোধন করলেন ব্রাত্য বসু ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
নিজস্ব সংবাদদাতা: ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রেস কর্নারে ‘মোস্তাক হোসেন: জীবন ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক এক গবেষণা গ্রন্থের উদ্বোধন করলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক উজ্জ্বল সিনহা ও তরুণ প্রকাশক ফারুক আহমেদ। বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং সমাজসেবী মোস্তাক হোসেনকে নিয়ে লেখা এই গ্রন্থ উদ্বোধন করতে গিয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মোস্তাক হোসেনের জীবনমুখী কার্যকলাপের কথা জেনে মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি। তাঁর মতো মানুষ আজ বিরল। এমন জীবনদরদি ও মানবদরদি মানুষ এখন আমাদের খুব দরকার।’
সাতশো কুড়ি পৃষ্ঠার এই সুবিশাল গ্রন্থে কলম ধরেছেন একশো সতেরো জন লেখক।
লেখক তালিকায় যেমন রয়েছেন বর্ষীয়ান কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, গবেষক, তেমন রয়েছেন উদীয়মান প্রকাশক, সম্পাদক, প্রবন্ধকার, গবেষকরাও। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, কবীর সুমন, তপন মিত্র, অশোক দাশগুপ্ত, মইনুল হাসান, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, খাজিম আহমেদ, সুরজিৎ দাশগুপ্ত, জয়ন্ত ঘোষাল, সুমন ভট্টাচার্য, দেবাশিস পাঠক, জয়ন্ত সিংহ, সাহানা নাগ চৌধুরী, হারাধন চৌধুরী, সুধাংশুশেখর দে, অমর পাল, সাবির আহমেদ, মৌসুমী বিশ্বাস প্রমুখ বিশিষ্ট সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। পঁয়তাল্লিশ ফর্মার মূল্যবান গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গবেষক ফারুক আহমেদ। ‘উদার আকাশ’ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে।
মোস্তাক হোসেন এক বর্ণময় ব্যক্তিত্ব, যিনি সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন ‘পতাকা’ সাম্রাজ্য। তবে ব্যক্তিগত সাফল্যে সীমায়িত হয়নি তাঁর জীবন। সমাজসেবা আর শিক্ষা প্রসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন আইকন। সমস্ত রকম প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে জনকল্যাণ ও আর্তজনের সেবায় এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
এমন মাপকাঠিতে আগে কখনওই শুধু বাঙালি কেন কোনও ভারতীয়ও এমন দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করে মোস্তাক হোসেনের মতো শিল্পপতি হননি। মোস্তাক হোসেন তাঁর সমগ্র জীবন জাতি এবং বাঙালির সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সেবায় ব্যয় করেছেন।