প্রজাতন্ত্র দিবসে আমেরিকা জুড়ে ভারতীয়েরা নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামছে।
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:- আমেরিকার মোট ৩০টি শহরে ২৬ জানুয়ারি হবে এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এই দিনকে প্রবাসী ভারতীয়দের একাংশ ‘ডে অব অ্যাকশন’ হিসেবে পালন করবেন। আমেরিকা জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে প্রতিবাদ চলছিলই। গত রবিবারও আটলান্টা, নিউ জার্সিতে একই কারণে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এ বার প্রতিবাদ জানানো হবে ভারতীয় দূতাবাসগুলির সামনে। নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, হিউস্টন, অ্যাটলান্টা, শিকাগো, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটল, অস্টিন, ডেট্রয়েট, উইসকনসিন, সিনসিনাটি, ডেনভার, মিনিয়াপোলিস, লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ৩০টি শহরে এই প্রতিবাদের জন্য প্রস্তুতি চলছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হবেন হোয়াইট হাউসের দক্ষিণে পেনসিলভ্যানিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে। সেখান থেকে যাওয়া হবে ম্যাসাচুসেটস অ্যাভিনিউয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে। নিউ ইয়র্কের প্রতিবাদে যোগ দেবেন সোমাদিত্য কর। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকুরিরত সোমাদিত্য ইতিমধ্যেই বানাতে শুরু করেছেন নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআর-বিরোধী পোস্টার। পোস্টারগুলি নিয়ে এই রবিবার তিনি যোগ দেবেন প্রতিবাদে। জানালেন, আইনের বিরোধিতা করলে পুলিশি বর্বরতার মুখে পড়তে হচ্ছে। মৃত্যুর ঘটনায়ও ঘটেছে। এর বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হবে। তিনি বললেন, ‘‘আইনটি ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ চরিত্রকে নষ্ট করতে চাইছে। সাম্প্রদায়িকতা কোনও রাজনৈতিক মত হতে পারে না। ধর্ম বা জাতের নামে সংখ্যালঘু খুন ও ধর্ষণের মতবাদ প্রচার করা সমাজবিরোধীদের কাজ।’’
হিউস্টনের মিছিলে থাকবেন, দেবলীনা মৈত্র। গবেষক দেবলীনা জানালেন, হিউস্টনের স্কটল্যান্ড স্ট্রিটে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন তাঁরা। তিনিও বলেন, ‘‘এই আইন সংবিধান-বিরোধী। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন।’’ দেবলীনার কথায়, ‘‘আইনের বিরোধিতা করায় উত্তরপ্রদেশে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই আইনের বিরোধীদের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। এ সবের বিরুদ্ধেও আমাদের প্রতিবাদ।’’