সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
নিজস্ব সংবাদদাতা,কোলকাতা:- ১১ জুলাই সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হলো। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠনের সদস্যরা সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করেন। দুপুরে করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংগঠনের পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভার্চুয়াল কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিষ্ঠা দিবসে আলোচনার বিষয় ছিল “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা : পর্যালোচনা”
প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন স্বাধীনোত্তর ভারতে বিভিন্ন কারণে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক অবনয়ন ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। কোনো রাজনৈতিক দল ও সরকার আন্তরিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে মনোযোগী হয়নি। বরং সুপরিকল্পিতভাবে তাদের অবজ্ঞা করেছে। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। একদিকে তারা তাদের অবনয়নের দায় নিতে অস্বীকার করেছে। আবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধঃপতনে তারা আহ্লাদিত হয়েছে। এরকম শত্রু বেষ্টিত পরিবেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইনসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন খুব সহজ নয়। দীর্ঘ আন্দোলনের জন্য আমাদের ধৈর্য্যশীল হতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
সংগঠনের সহ সম্পাদক হাফেজ নাজমুল আরেফীনের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কনভেনশন শুরু হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য শিক্ষক আলি আকবরের প্রারাম্ভিক বক্তব্যে সংগঠনের দীর্ঘ কার্যকলাপ উঠে আসে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামান সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকল সদস্য, নেতৃত্ব, কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
ভার্চুয়াল কনভেনশনে কলম পত্রিকার সম্পাদক জনাব আহমেদ হাসান ইমরান বলেন সর্বত্র সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী লাঞ্চিত বঞ্চিত হয় এটা ঐতিহাসিক সত্য, তারমধ্য থেকেই তাদের টিকে থাকার লড়াই চলে। রাজ্য সরকার এবছর সংখ্যালঘু উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়িয়েছে, তবে যুব ফেডারেশন সহ আমাদের দায়িত্ব সরকারি বরাদ্দ যাতে যথাযথ ব্যয় হয় তার সজাগ দৃষ্টি রাখা। এভাবেই সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন বিগত দিনে বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছে আগামী দিনেও করবে এই আশা করি।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের মতো এমন একটি লড়াকু সংগঠন ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে এটা শুনে খুব ভালো লাগছে। আমি আশা করছি এই সংগঠন রাজ্যের বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আরো শক্তিশালিভাবে এগিয়ে যাবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল মাতিন বলেন ছাত্র জীবন থেকেই দেখে এসেছি সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামান ও তাঁর টিম রাজ্যের ছাত্র যুবদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করেছে। আগামীদিনেও এই টিম রাজ্যের সংখ্যালঘু ছাত্র যুব সমাজের স্বার্থে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এই আশা করি।