অয়ন বাংলা,নিইজ ডেস্ক:-কাশ্মীরের বিষয় নিয়ে কথা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কংগ্রেসের অন্দরের মতপার্থক্য সামনে আসে৷ কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরা এই পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ অন্যদিকে বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা যে প্রক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ কার্যকর হল, তার সমালোচনা করেছেন৷ এর মধ্যে অন্যতম ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল৷ তাঁর কথায়, সব দলে মতপার্থক্য থাকে৷ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিজেপি তাদের ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কার্যকর করেছে৷ যে প্রক্রিয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করল, তা ঠিক নয়৷
কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল আইনে পরিণত হওয়ায় জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে৷ বাঘেল বলেন, আগেও অনেক রাজ্য ভাগ হয়েছে৷ এটা নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু কাশ্মীরে যে প্রক্রিয়ায় এটা করা হল, তার সমালোচনা করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, কাশ্মীরের মানুষকে অন্ধকারে রেখে তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করল বিজেপি৷ সরকার তাঁদের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অথচ এব্যাপারে আগে তাঁদের জানানো হয়নি৷ এটা কি গণতন্ত্র? প্রশ্ন বাঘেলের৷
কাশ্মীর ছাড়াও সনিয়াকে ফের দলের সভাপতি করা নিয়ে মুখ খুলেছেন ভূপেশ বাঘেল৷ তাঁর কথায়, আগে নেহরু গান্ধী ছাড়াও অনেকে বাইরে থেকে দলের সভাপতি হয়েছেন৷ এবার আবার সনিয়ার ওপর দল ভরসা রেখেছে, এর অর্থ এই নয় যে, দলে নেতৃত্বের অভাব৷ এপ্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সনিয়া নিজে মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী পদে ১০ বছরের জন্য বসিয়েছিলেন৷ কংগ্রেস কর্মীদের এই পরিবারের প্রতি একটা আবেগ কাজ করছে৷ কারণ তারা দেশের জন্য অনেক করেছে৷ এই পরিবার আমাদের শক্তি, দুর্বলতা নয়৷ দাবি বাঘেলের৷