নিউজ ডেস্ক :- লাদাখ সীমান্তে চিন সেনাবাহিনীর একাধিক অনুপ্রবেশ নিয়ে বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানায় নিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। মূলত অর্থনীতি এবং দেশের নিরাপত্তা এই দুই তাঁর প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এদিন ফের একবার কেন্দ্রকে লাদাখ ইস্যুতে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন রাহুল গান্ধী।
এদিন টুইটে তিনি লেখেন, ‘চিন আমাদের ভূখণ্ড দখল করে নিল। ভারত সরকার ঠিক কখন এটা ফিরে পাওয়ার পরিকল্পনা করবে? নাকি এই ক্ষেত্রেও ‘অ্যাক্ট অফ গড’ আখ্যা দেওয়া হবে?’
খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে। জিএসটি ক্ষতিপূরণ না দিতে পারায় তিনি যে ‘অ্যাক্ট অব গড’-এর তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন, সেই প্রসঙ্গেই এদিন অর্থমন্ত্রীকে বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি তথা কংগ্রেস সাংসদ। রাহুলের প্রশ্ন, ভারত কবে চিনের কাছ থেকে নিজের জমি ফেরত নেবে? নাকি এক্ষেত্রেও ভগবানের দোহাই দেওয়া হবে?
এদিকে, বিগত এক সপ্তাহ ধরে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ পাড়ে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের ফৌজ। গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চিনা বাহিনী। ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রতিবারই ভারতের সঙ্গে বেইমানি করেছে লালফৌজ। বৈঠকের টেবিলে একরকম কথা আর বাস্তবে অন্যরকম কাজ, এটাই নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে চিনা বাহিনীর। এর মধ্যে আবার গত ২৯ এবং ৩০ আগস্ট চিনারা দক্ষিণ দিক থেকে ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। যা ভারত প্রতিহত করেছে। এই মুহূর্তে প্যাংগংয়ের দক্ষিণ উপকূলে ভারত রয়েছে অ্যাডভান্টেজে আর চিনারা উত্তর উপকূল দিয়ে হামলার ছক কষছে। সেজন্য রীতিমতো প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছে চিনা সেনা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে লাদাখ সীমান্তে প্রায় ৫০ হাজার লালফৌজ (PLA) মোতায়েন আছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি-সহ যাবতীয় আধুনিক সমরসজ্জা। যা রীতিমতো চিন্তার বিষয় হলেও, ভারতীয় সেনা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
এই অবস্থায় লাদাখ সীমান্তে কর্তব্যরত কম্যান্ডারদের বিশেষ নির্দেশ পাঠিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, নিয়মের মধ্যে থেকেই দেশের সীমানা পাহারা দিতে হবে। শত্রুর হাত থেকে দেশের মাটি যেকোনও মূল্যে বাঁচাতে হবে। তবে অশান্তি মেটাতে খুব শীঘ্রই সেনাস্তরেও দু’দেশের মধ্যে কথাবার্তা হবে। এদিকে, এদিন লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে তিন সেনাপ্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠকও সারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ।