কোনও সম্প্রদায় কিংবা রং না দেখে দাঙ্গাবাজদের বিরূদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

কোনও সম্প্রদায় কিংবা রং না দেখে দাঙ্গাবাজদের বিরূদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

পরিমল কর্মকার, কলকাতা : হুগলী জেলার তেলেনিপাড়ার ঘটনা নিয়ে বুধবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে তিনি প্রতিটি জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে পরামর্শ দেন জেলাশাসকদের। কোনও সম্প্রদায় কিংবা রং না দেখে দাঙ্গাবাজদের বিরূদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে হুগলির তেলিনিপাড়ায় দুই সম্প্রদায়ের কিছু উশৃঙ্খল মানুষের মধ্যে মারধোর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে হুগলী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেইদিন পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও, মঙ্গলবার সকালে আবার নতুন করে দফায় দফায় বোমাবাজি, গুলি, অগ্নি সংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। সংঘর্ষের একাধিক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়ায়।

বুধবারও এই ঘটনার রেশ চলতে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হুগলির সাধারণ মানুষ। এই জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয় বিরাট পুলিশবাহিনী। বন্ধের আকার নেয় তেলেনিপাড়া সহ চন্দননগর, শ্রীরামপুর, ভদ্রেশ্বর, উত্তরপাড়া, তারকেশ্বর, সিঙ্গুর প্রভৃতি এলাকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুগলীর এগারোটি থানা এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট ও কেবল পরিষেবা।

এরপরই বুধবার নবান্নে একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কোনও সম্প্রদায় কিংবা রং না দেখে দাঙ্গাবাজদের বিরূদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছি।”

অন্যদিকে, এদিন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে হুগলীর জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতৃত্ব। একটানা তিন দিন ধরে বোমাবাজি, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ অর্জুন সিং চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.