নিউজ ডেস্ক: – বিতর্কিত টুইট অর্জুন সিং এর ,এ বিষয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি । বিজেপি সাংসদের অর্জুন সিংয়ের ধর্মীয় উসকানি মূলক টুইটকে কেন্দ্র করে এবার উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। অর্জুন সিংয়ের টুইটের ছবি পোস্ট করে পুলিশ জানিয়েছে, “এই পোস্ট বা দাবি বিভ্রান্তিকর।” পাশাপাশি, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকালে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দেওয়ার কিছু ছবি দিয়ে একটি টুইট করেন সাংসদ অর্জুন সিং। লেখেন, “দিদির জিহাদি রাজনীতি এখন হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেখুন মুর্শিদাবাদে কীভাবে মন্দিরের ওপর হামলা চালিয়ে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দিয়েছে বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ।”
টুইটটি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক। এরপরই বিজেপি সাংসদের টুইটের ছবি দিয়ে একটি টুইট করে রাজ্যপুলিশ। সেখানে বলা হয়, “এই পোস্ট বা দাবি বিভ্রান্তিকর। এর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক এই পোস্ট এড়িয়ে চলুন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি চিঠি মারফত জানা গিয়েছে যে, সাংসদের টুইটের ওই কালীপ্রতিমাটি মুর্শিদাবাদের নওদার। ৩১ আগস্ট রাতে ওই প্রতিমায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে কোনও সামগ্রী খোওয়া যায়নি। এপ্রসঙ্গে মন্দির কমিটি বলেন, ওই এলাকায় হিন্দু-সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তাই এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার কোনও কারণ বা যুক্তি নেই।
একটি বিশেষ ঘোষণা:
গত ৩১.০৮.২০২০ তারিখে মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লক অন্তর্গত আলামপুর কালী মন্দিরের যে প্রতিমা অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলো সেটাকে ঘিরে এক শ্রেনীর মানুষ সাম্প্রদায়িক উষ্কানিমূলক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা দারুন ভাবে ভাইরাল হয়েছে। সমস্ত কিছু তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হয় যে, এটা একটি দূর্ঘটনা, কোন সম্প্রদায়ের মানুষ এটা ঘটাননি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এটাকে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে। এবং উক্ত মন্দিরের সম্পাদক শুকদেব বাজপেয়ী তাঁর নিজ মুখে সেই কথা প্রকাশ করলেন।
তাই সকলকে এই বিভ্রান্তমূলক বা উষ্কানিমূলক কথা থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এই জেলা সবার, এই রাজ্য সবার, এই দেশ সবার। আমরা সবাই একসাথে মিলে মিশে থাকতে চাই সারাজীবন।
ধন্যবাদ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন। 🇮🇳 🇮🇳 🇮🇳
Samsujjaman
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2687983091441013&id=100006880442139