নির্দেশিকার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা, প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের হূমকী
কলকাতা :- উপাচার্য, নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) কোনও পদেই কোনও স্থায়ী নিয়োগ হয়নি। সেই দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব হয়েছেন নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও অধ্যাপকেরা। সেই আবহেই এবার এক নির্দেশিকা ঘিরে বাড়ল বিতর্ক। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কর্মী। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। এই নির্দেশিকায়, অধ্যাপকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে সরব হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় অনেক দিন ধরেই সরব হয়েছিলেন অধ্যাপকেরা। পরে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে গত এপ্রিল মাসে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এই ইস্যুতে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। উপাচার্য এলেও আরও অনেক সমস্যার কথা সাম্প্রতিককালে তুলে ধরেছেন অধ্যাপকেরা। এরপরই এমন নির্দেশিকা দেওয়া হল। নির্দেশ না মানা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
এই নির্দেশিকার প্রতিবাদ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা। শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি অধ্যাপক মনন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘এই অর্ডারের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। যিনি অর্ডার দিয়েছেন, সেই নিবন্ধকও স্থায়ী নন। অবসরের পর তিনি অবৈধভাবে এক বছর ধরে নিযুক্ত আছেন।’ তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে অরাজকতা চলছে, তার প্রতিবাদে মুখ খুলেছিলেন অধ্যাপকেরা। তার জেরেই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। অধ্য়াপক আরও বলেন, এভাবে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হলে অধ্যাপক বা শিক্ষাকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন। হাঁটতে পারেন বৃহত্তর আন্দোলনের পথে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা বড় আন্দোলনে নামবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, কোনও পদে স্থায়ী নিয়োগ হয়নি, অথচ এই নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই রাজ্য সরকারের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায়ও এই নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই অর্ডার প্রত্যাহার করা না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।’