নিউজ ডেস্ক:- করোনা কে কেন্দ্র করে বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমশ পারদ চড়ছে । আমেরিকায় করোনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে । শূধু কি গোটা বিশ্ব আজ স্তব্ধ ,দুর্ভিক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বের বহূ দেশ। এমতাবস্থায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য প্রমান জোগাড় করে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধের সামনে গোটা বিশ্বকে দাঁড় করানোর চেষ্টায় রত। করোনার আবহেও আমেরিকা ও চিনের দ্বৈরথ জারি। কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়ানো নিয়ে হোয়াইট হাউস যখন তোপ দাগছে, বেজিংয়ের তখন পালটা চাল, করোনা নিয়ে আগাম সতর্ক করা সত্ত্বেও কান দেয়নি ওয়াশিংটন। চিনে শুরু থেকে মহামারি আকার নিলেও এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি আমেরিকায়। সেখানে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় হঠাৎই নতুন একটি ভিডিও পোস্ট করে চিনের দাবি, আগে থেকে সতর্ক হলে অনেকটাই ভাল জায়গায় থাকতে পারত আমেরিকা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও অভিযোগ করেছেন, ইউহানের গবেষণাগারেই যে কোভিড ভাইরাসের জন্ম তার প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। এবং তিনি নিজে সেই প্রমাণ দেখেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান। তাঁর দাবি, ভাগ্যিস তিনি চিনা পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। না হলে তাঁর দেশের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। কিছুদিন আগেই বাণিজ্য ও রপ্তানি শুল্ক নিয়ে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। এই দ্বন্দ্ব মেটার আগেই গত নভেম্বরে কোভিডের উপস্থিতি ধরা পড়ে ইউহানের বাজারে এবং ক্রমেই তার ছায়া দীর্ঘ হয়ে বিস্তারলাভ করে পৃথিবী জুড়ে। উল্টোদিকে বেজিং ৩৯ সেকেন্ডের অ্যানিমেটেড ভিডিও প্রকাশ করেছে। ফ্রান্সের চিনা দূতাবাসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা ওই টুইটারে দেখা যাচ্ছে, চিন যখন করোনা রুখতে জানুয়ারিতে লকডাউন ঘোষণা করেছিল, তখন আমেরিকা সেটিকে ‘বর্বরোচিত’ বলে উল্লেখ করে। এমনকী, ট্রাম্প যে বারবার চিনের গবেষণাগারে কোভিডের জন্ম নিয়ে দাবি করে আসছেন, তা-ও ‘হতাশা থেকে’ বলেও কটাক্ষ করেছে বেজিং।
উল্লেখ্য, করোনা নিয়ে চিনকে দোষারূপ করলেও সময় থাকতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। সদ্য প্রকাশিত এক প্রবন্ধে মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ দাবি করেছে, নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অন্তত ১২ বার সতর্ক করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA। তবে সেই সতর্কবার্তায় আমল না দিয়ে তা হেলায় উড়িয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রশাসনের একাধিক শীর্ষকর্তাকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে করোনার ভয়াবহ ক্ষতি সাধনের ক্ষমতা নিয়ে ট্রাম্পের কাছে কমপক্ষে বারোটি রিপোর্ট দিয়েছিল CIA। কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় আমল না দিয়ে তা হেলায় উড়িয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শিরোনামে উঠে আসে নোভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহর থেকেই এই মারণ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।
বিশ্ব মোড়লদের দাদাগিরি আজ নতুন নয় । ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে বিশ্ব মোড়লরা দাদাগিরি করে চলেছে। কে সুুপার পাওয়ার হবে । কে গোটা বিশ্বকে নিজের ইচ্ছামতো চালাবে এই নিয়ে গোপনে গোপনে কাজ করে চলেছে ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র নায়ক রা।
আর পাঁঠার বলি সেই জনগণ ।