লকডাউনে বেহালার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতিদিনই ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা করে চলেছেন কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র
পরিমল কর্মকার, অয়ন বাংলা নিউজ, কলকাতা :- লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই তার এলাকার মানুষকে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা করে চলেছেন ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র। এমনকি তার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা রেশন দোকানে ঠিকমত রেশনটা পেলেন কিনা, তার খোঁজখবর রাখাটাও যেন তার নিত্যদিনের রুটিন মাফিক কাজ। এছাড়াও যারা এখনও পর্যন্ত নতুন রেশন কার্ড পাননি তাদের কুপন বিলি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে নতুন কার্ড করার ব্যাপারেও প্রতিদিনই পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন তিনি।
এব্যাপারে কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অধিকাংশই গরিব মানুষ। তার ওয়ার্ডে বড়বাগান ও জেলেপাড়া বস্তি সহ মোট ১৩ টি বস্তি রয়েছে। প্রায় ২ মাস হতে চললো লকডাউন চলছে। গরিব মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ প্রত্যেকেই আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষই খুব বিপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাই প্রতিদিনই তার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী সহায়তা করে চলেছেন তিনি। তাই তার কাছে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত বলে কোনও কথা নেই। খাদ্য সামগ্রীর প্রয়োজনে সকলেই তার কাছে আসতে পারেন বলে জানান তিনি। তিনি এও বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোনও মানুষ যেন অভুক্ত না থাকেন। তাই দিদির নির্দেশ পালন করতেই আমার এই উদ্যোগ।”
নিয়ম করে প্রতিদিনই পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে খবরা খবর রাখছেন তিনি, ওয়ার্ডের সবাই ত্রাণ পেলেন কিনা ! রেশন দোকান থেকে বিনামুল্যে তারা তাদের প্রাপ্য ৫ কিলো চাল পেলেন কিনা ! যারা এখনও পর্যন্ত নতুন রেশন কার্ড পাননি তাদের “রেশন কুপন” সংগ্রহ করা ও নতুন কার্ড পাওয়ার ব্যাপারেও প্রতিনিয়ত: পরামর্শ দিয়ে চলেছেন তিনি।
১৪ মে বৃহস্পতিবার, এই প্রতিবেদক (সাংবাদিক) যখন বেহালার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করছিলেন, অধিকাংশ বাসিন্দাদেরই বলতে শোনা গেল “সঞ্চিতা দি প্রায় দিনই আমাদের খোঁজখবর নিয়ে যায়। আমাদের যে কোনও সমস্যায় পাশে পাই তাকে।”
বেহালার বাসিন্দারা অনেকেই বলছেন, অন্যান্য কাউন্সিলররা যদি সঞ্চিতা মিত্রের মতো মানুষকে অনুসরণ করেন তাহলে উপকৃত হবেন কলকাতা পুর এলাকার বাসিন্দারা।