অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:-মানবতা আজ কোথায় ,চারিদিকে যে অসহায়ের আতর্নাদ।
মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় যে সম পরিমাণে রয়েছে জাতপাতের ভেদাভেদ তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তামিলনাড়ুর ভেলোরের এই ঘটনা। উচ্চবর্ণের দেহ সত্কার হয় শশ্মানে তাই কোনও দলিতের দেহ সেখানে দাহ হতে দেওয়া যাবে না।
তামিলনাড়ুর ভেলোর জেলায় ৬৫ বছরের একপ্রোের অপঘাতে মৃত্যুর পর পরিবারের লোকেরা শশ্মোন নিয়ে এসেছিলেন সত্কারের জন্য। কিন্তু তাতে প্রবল আপত্তি জানায় সেখানকার উচ্চবর্ণের বাসিন্দারা। যেখানে উচ্চবর্ণের দেহ সত্কার হয় সেখানে নিম্ন বর্ণে বিশেষ করে দলিত পরিবারের কোরার দেহ সত্কার করতে দেওয়া যাবে না। না হলে নাকি শশ্মানের জাত চলে যাবে।
৬৫ বছরের প্রৌঢ় কুপ্পান দলিত তাই তাঁর দেহ সত্কারের অনুমতি মিলল না শশ্মানে।
অগত্য দেহ কাঁধে করেই সেখান থেকে ফিরতে হল পরিবারের লোকেদের। কিন্তু অপঘাতে মৃত্যু যেহেতু তাই সমাধিস্থ করা যাবে না তাঁকে দাহই করতে হবে। উপায় কী হবে বুঝতে না পেরে শশ্মান থেকে ফেরার পথে একটি সেতুর নীচে দেহটি ঝুলিয়ে রেখে দেয় পরিবরের লোকেরা। মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে খবর। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কুপ্পানের পরিবারের লোকেরা জানান তাঁদের দেহ শশ্মানে সত্কার করতে দেওয়া হয়নি। তাই রাস্তায় দাহ করার অনুমতি দেওয়া হোক।
যদিও উচ্চবর্ণের বাসিন্দাদের এই দাপট এই এলাকা প্রথম নয়। প্রায় ৫০ টি পরিবারের বাস এখানে। তাঁদের দেহ সত্কারের অনুমতি নেই শশ্মানে। সাধারণ দেহ সমাধিস্থ করে থাকেন তাঁরা। কিন্তু অপঘাতে মৃত্যু হলে দেহ দাহ করা ছাড়া উপয় থাকে না। ঘটনার কথা জানার পরেই বিষয়টি খতিেয় দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা শাসক। তবে ভেল্লোরের তিরুপাট্টুর তালুকের সাব কালেক্টর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।